চতুর্থধাপে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদ- প্রার্থী( মোরগ প্রতীক) মো. আনোয়ার হোসেনকে(৪০) কুপিয়ে গুরতর জখম করেছে একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী আব্দুল কাদের মন্ডল ও তার কর্মিসমর্থকরা। বর্তমানে তিনি গুরতর আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে আনোয়ার হোসেনের নিজ বাসভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আনোয়ার হোসেন উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতলাপাড়া এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি মোরগ প্রতীকে মেম্বার পদে নির্বাচনে লড়ছেন।
স্থানীয় আব্দুল কাদের, হাসমত আলী, মো. নজরুল ইসলাম, মো. হাবেল উদ্দিন মোছাম্মৎ নার্গিস বেগম বলেন, নির্বাচনে আনোয়ারের জনপ্রিয়তা দেখে একই ওয়ার্ডের তালাচাবি প্রতিকের আব্দুল কাদের মোল্লা(৪৫), ভালকুটা গ্রামের ছোরহাব মন্ডলের ছেলে মো. শাহালম মিয়া(২৩), মো. জুয়েল মিয়া (২৪), রশিদ প্রামানিকের ছেলে মো. আশিক প্রামানিক(২৫),আছর প্রামানিকের ছেলে ইমরান প্রামানিক(২৩),সাত্তার প্রামানিকের ছেলে আলামিন প্রামানিক ,আমিরুল প্রামানিক(২৫)সহ ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আনোয়ার ডেগার ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মৃত বলে ফেলে রেখে যায়। পরে আমরা গুরতর অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।
আহত মেম্বার প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইতোপুর্বেও নবর্িাচন তেকে সরে দাড়ানোর জন্য নানাভাবে হুমকি দিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাদের মন্ডল। প্রতিদিনের ন্যায় নির্বাচনী সভা শেষ করে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। গভীর রাতে তালাচাবি প্রতিকের আব্দুল কাদের মন্ডল তার দলবল নিয়ে এসে আমাকে ডেকে তোলে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলে। আমি রাজি না হওয়াতে কাদের মন্ডলের হুকুমে শাহালম,জুয়েল, জহুরুল, আশিক, ইমরান, আলামিন, আমিরুল আমাকে প্রানে মারার জন্য ডেগার দিয়ে বুকে ও পিঠে ঘা দেয় এবং চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কুপাতে ও রোহার রড দিয়ে বাড়ি মারিতে থাকে। একপর্যায়ে আমি মাঠিতে লুঠিয়ে পরি। পরে বাড়ির লোকজনের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ভুঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি