নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পূরণে সক্ষম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে কাউন্সিলর সুমন’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর,ব্যারিষ্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী ডিগ্রীকলজের সাবেক ভিপি,তরুণ রাজনীতিবিদ জিয়াউল হক সুমন ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়ে স্থানীয় এলাকার সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নে দিয়েছিলেন নানা প্রতিশ্রুতি।                                                                                                                                                                                               তার প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস করে এলাকার জনগণ তাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেন। বর্তমানে কাউন্সিলর হিসাবে তার দায়িত্ব পালনের সময় প্রায় শেষ। এই সময়ের মধ্যে তিনি তার প্রতিশ্রুতি কতটুকু পূরন করতে পেরেছেন এক বিকালে আলাপকালে এ প্রতিবেদককে জিয়াউল হক সুমন তার উত্তরে বলেন , বেশির ভাগ প্রতিশ্রুতি পূরন করতে সক্ষম হয়েছি। যেগুলো এখনও অবশিষ্ট আছে সেগুলো এ মেয়াদের মধ্যে শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।

যেসব কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আকমল আলী রোড, কাজীর গলি, মাদ্রাজী শাহ রোড, এস আলম বি আলম গলি, ফকির মোহাম্মদ সওদাগর রোড, ব্যাংক কলোনী রোড, বক্স আলী মুন্সি রোড সমূহ উল্লেখযোগ্য। যখন আমি কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করি তখন এসব রোডের অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ ও অনেকটা চলাচলের অনুপযোগী । তাছাড়া বর্ষার মৌসুমে জোয়ারের পানিও ছিল এসব রোডের নিত্য নৈমিত্তিক সমস্যা।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                             আমি দায়িত্ব গ্রহন করার পর মেয়র মহোদয়ের সহযোগিতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেসব এলাকার সমস্যা প্রকট সেসব এলাকার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিটি এলাকাতে নিয়মিত নালা নর্দমা সমূহ পরিষ্কার ও জঞ্জাল অপসারনের ব্যবস্থা গ্রহন করি যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে পূর্ব দিকে বিমান বন্দর সড়কের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে যানবাহন ও জনগণের চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হত। মেয়র মহোদয়ের সহযোগীতায় বর্তমানে রাস্তাটি ৩ ফুট উচু করা হচ্ছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হলে যান চলাচল ও জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে।

বর্তমানে জোয়ারের পানিতে প্রায় সব এলাকার রাস্তাঘাট এমনকি বাড়িঘরে পর্যন্ত পানি উঠে যায়। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে আমার এলাকায় পানি সমস্যা বহুলাংশে লাঘব করেছি। শুধুমাত্র ঘরে ঘরে ওয়াসার পানির লাইন পৌছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিটি ৫০% পর্যন্ত পূরণ করতে পেরেছি। ওয়াসার অসহযোগিতার কারণে বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়াও কিছু অসমাপ্ত কাজের প্রকল্প অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে আছে ।                                                                                                                                                                                                                                                   চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে এ সব প্রকল্পের কাজ শুরু হবে এবং যথা সম্ভব স্বপ্ল সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। আমার এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রন করতে চেষ্টা করেছি। শুধুমাত্র একটি লাইসেন্সধারী মাদক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স থাকার কারণে বন্ধ করতে পারিনি।

আগামী ঈদ উল আযহার সময়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের দিন বেলা ৩ টার মধ্যে কোরবানীর পশুর সকল বর্জ্য অপসারন করে ফেলা হবে। তারপরও কোথাও কোন অনপসারিত বর্জ্য কারও নজরে পড়লে আমার ০১৭১১-৭৪৯৩৮৮ মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল যদি আমাকে নমিনেশন দেয় এবং এলাকার জনগণও যদি আমাকে চায় তাহলে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচন করব।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ