গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় মাত্র পৌনে তিন মিনিটে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ৪৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬০০ গ্রাম রূপা ও নগদ টাকাসহ ১০ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় মাত্র পৌনে তিন মিনিটে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ৪৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬০০ গ্রাম রূপা ও নগদ টাকাসহ ১০ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার।
এসপি শামসুন্নাহার বলেন, ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একদল ডাকাত শ্রীপুরের জৈনা বাজারের গফুর সুপার মার্কেটের নিউ দিপা জুয়েলার্স ও লক্ষ্মী জুয়েলার্সে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৮০ ভরি স্বর্ণ, ৫০০ ভরি রূপা ও নগদ ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান।
এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে দিপা জুয়েলার্সের মালিক দেবেন্দ্র কর্মকার গুরুতর আহত হন। পরে ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং ২২ নভেম্বর ও ২৩ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে ৪৩ ভরি স্বর্ণ, ৬০০ গ্রাম রূপা, এক লাখ ৫৬ হাজার ৩২০ টাকা, সাতটি ককটেল, একটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, নিজস্ব সোর্স, তথ্য প্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রথমে ডাকাত সাইদুর সরকারকে শিবচর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে অন্যদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সঞ্জয় সরকার আশুলিয়া ও বিবেক পাল ধামরাই এলাকার স্বর্ণের ব্যবসায়ী। তারা স্বর্ণের ব্যবসার পাশাপাশি ডাকাতি করা স্বর্ণ কেনাবেচা ও ডাকাতির আগে ডাকাতদের অর্থের জোগান দিতেন।
তিনি বলেন, জৈনা বাজারে ডাকাতির আগে ডাকাত মনির তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন ও আলমগীর স্বর্ণের দোকানগুলো পরিদর্শন করে যান। সম্প্রতি তাদের আরও দুটি স্থানে ডাকাতির কথা ছিল। ডাকাতদের মধ্যে মনির কালিয়াকৈর এলাকার ভান্নারা এলাকায় এবং আলমগীর গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া এলাকায় ভাড়া থেকে ঝুট ব্যবসা ও পোশাক কারখানার চাকরির অন্তরালে ডাকাতি করতেন। তাদের মধ্যে মনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, ডাকাতিসহ ১১টি মামলা রয়েছে। ঢাকার আশুলিয়ায় সঞ্জয় সরকার ও ধামরাইয়ে বিবেক পালের স্বর্ণের ব্যবসা রয়েছে। তারা ডাকাতির স্বর্ণ ও রূপা গলিয়ে অলঙ্কার বানিয়ে বিক্রি করতেন।