গরিব মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গ্রামগঞ্জে শ্রমঘন কুটির শিল্প গড়ে তোলা এবং গরিব মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আজ আমরা উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে পারছি। আমরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি।

বুধবার অষ্টম জাতীয় পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত্র সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু এতে বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের এসএমই খাতে উৎপাদিত অনেক পণ্য বিশ্বমানের। এগুলোর সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্য জড়িত। তবে ঋতু-বৈচিত্র্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কীভাবে পণ্য উৎপাদন করা যায়, তা দেখতে হবে। ক্রেতার চাহিদা কী, সেটাও দেখতে হবে; সেভাবেই পণ্য উৎপাদন করতে হবে। সার্বিক বিষয়ে গবেষণা করে পণ্যের চাহিদা, পণ্যের উৎপাদন ও পণ্য সরবরাহ করতে হবে। তাহলে আমাদের কুটির শিল্প বিশ্বে স্থান করে নিতে পারবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের প্রায় ৮ হাজারের মতো পোস্ট অফিস আছে। সেগুলো ডিজিটাল করেছি। নিজের ইউনিয়নে, নিজের ঘরে বসে পণ্য যাতে বিক্রি করা যায়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এর অগ্রগতি আর কেউ থামাতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমরা গ্রাম উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছি। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি ঘোষণা করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। রাজধানী ও জেলা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত আমরা যোগযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছি। ফলে এখন গ্রামের মানুষও ব্যবসা-বাণিজ্য করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এখন পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১০০টি বিশেষ শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করে আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও পাঠাতে পারি। ক‌ুটির শিল্পের মাধ্যমে আমাদের ৮ লাখেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু হলে আরও মানুষের কর্মসংস্থা হবে। ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কানেকটিভিটি হচ্ছে। ফলে এসব দেশেও কৃষিপণ্য পাঠানো যাবে।

তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জে যত কুটির শিল্প গড়ে উঠবে তত বেশি কর্মসংস্থান হবে আমাদের মানুষের। মানুষ ভালো থাকতে পারবে। এ জন্য আমরা কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশি জোর দিয়েছি।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ