রাজধানীর মিরপুর থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত দেখতে এসেছেন পর্যটক জেসমিন সুলতানা। কারণ ঈদের ছুটিতে বেড়াতে দেশের বাইরে যাওয়ার চেয়ে নিজ দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোই তার বেশি পছন্দ। সিলেট থেকে আসা দুই বন্ধু সিয়াম ও হাসিব এখানে আসার পর থেকেই আনন্দে মেতে আছেন।সৈকতে গোসল করার পাশাপাশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। খাচ্ছেন সামুদ্রিক বিভিন্ন খাবার। ছোট বাচ্চাসহ পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন রাজিয়া আহমেদ নামে আরেক পর্যটক। কক্সবাজার শহর এখন এমন পর্যটকে পরিপূর্ণ। লাখো পর্যটকের আনন্দ আর হৈহুল্লোড়ে মুখরিত সাগরপাড়।
বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যটকদের ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। তারা পরিবার ও স্বজনের সঙ্গে নিয়ে আনন্দে মেতে আছেন। শিশুরা ছোটাছুটি করছে পুরো এলাকায়। শুধু সুগন্ধা পয়েন্টই নয়, সৈকতের বাকি ছয়টি পয়েন্টেরও একই অবস্থা। সমুদ্রসৈকতে গোসল করা, বালিয়াড়িতে ঘুরে বেড়ানো, ছবি তোলা, বিচ বাইক ও জেড স্কিতে কাটছে তাদের সময়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকে সৈকতের পাশাপাশি কক্সবাজার শহরও পূর্ণ হয়ে আছে।
এদিকে পর্যটকদের আনন্দ নির্বিঘ্ন করতে পর্যটন এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন লাইফ গার্ড, বিচ কর্মী ও পুলিশ। পর্যটকদের হয়রানি রোধে সৈকতে নিয়োজিত আছেন ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সমুদ্রস্নানের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সতর্কতামূলক মাইকিং করছে বিচ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটোকল সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, সমুদ্রস্নানের ক্ষেত্রে পর্যটকদের সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। সাগর উত্তাল থাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে। তাই সমুদ্রে নামার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটোকল সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, সমুদ্রস্নানের ক্ষেত্রে পর্যটকদের সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। সাগর উত্তাল থাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে। তাই সমুদ্রে নামার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৈকত এলাকা, হোটেল-মোটেল জোনের পাশাপাশি পর্যটন স্পট হিমছড়ি, দরিয়ানগর, পাথুরে সৈকত ও ইনানী বিচে নির্ধারিত পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটি কাটাতে পারবেন।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে গত দু’দিনে তিন লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ৭ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।