প্রেমের নাম বেদনাঃ আনোয়ারায় বিয়ের ৫মাস পর স্বামীর নির্যাতনের শিকার শান্তা আক্তার…!

বিশেষ প্রতিনিধিঃ২৭আগস্ট

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১০ নং হাইলধর ইউনিয়নের দক্ষিণ গুজরা গ্রামের সাকিল উদ্দিন সিহাব (২২)  প্রেম করে একই ইউনিয়নের  পূর্ব হেটিখাইন গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের  মেয়ে   শান্তা আক্তার(১৮) কে   বিয়ে  করেন  । পরিবারের চাপে বিয়ের ৫মাস পর যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে সংসার করতে না চাওয়াই ৪ মাসের অন্তসত্তা  গৃহবধূ শান্তা আক্তার (১৮) কে চরম ভবাবে হামলা করে  হাত, কানের রগ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২৫ আগষ্ট বুধবার রাত সাড়ে ৯টার সময়  এ ঘটনা ঘটে বলে আহত শান্তা আক্তারের পরিবার সূত্রে জানাই।  প্রবাসী সাকিল মোহাম্মদ আবু তাহের এর ছেলে।  

দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তা আর সাকিলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত পাঁচ আগে সাকিল দেশে এলে তারা দু’জনেই পালিয়ে বিয়ে করে। এরপর উভয়ের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিলে তাদের দাম্পত্য জীবন চলতে থাকে। এরই মধ্যে শান্তা ৪ মাসের আত্মসত্তা হয়।

শান্তার উপর হামলার বিষয়ে শান্তার বড় ভাই হাবিব জানায়, সাকিল ৫মাস আগে বিদেশ থেকে এসে আমার বোনকে বিয়ে করে,পরবর্তীতে সে আমার বোনের উপর নেশা করে করে যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করাই আমার বোন তার সংসার করবেনা বলে আমাদের ঘরে চলে আসে।

বিষয়টি নিয়ে গত (বুধবার)  সন্ধ্যায় উভয় পরিবারের মাঝে পালের হাটে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাকিল হঠাৎ করে আমাদের ঘরে গিয়ে আমার বোনের উপর হামলা করে। এখন আমার বোনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন, বাঁচা নিয়ে সংকা,অজ্ঞান হয়ে চমেক হাসপাতালে  ভর্তি  আছেন। পরে তারা পুলিশ কে খবর দিলে  পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানায়।

ঘটনার সত্যতা জানার জন্য সাকিলের   মোটো ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও তাকে সংযোগ পাওয়া  যায়নি।

তবে বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) দুপুর ২টার দিকে তার নিজ ফেইসবুক আইডির লাইভে এসে হামলার স্বীকারোক্তি দিয়ে সাকিল বলে,তারা দু’জনেই সম্পর্ক করে পালিয়ে বিয়ে করেছে। শান্তার বিভিন্ন দোষ দেখেও ভুল জেনেও সে কখনো কিচ্ছু বলেনি।

এমনকি শান্তার অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা জেনেও সে চুপ ছিলো। কিন্তু কিছুদিন আগে শান্তার পরিবারের লোকজন এসে তার দাদি এবং বাবাকে মারধর করে, সমাজের লোকজন বাঁধা দেওয়াই ওইদিন শান্তাকে তারা নিতে পারেনি কিন্তু এর দু’দিন পর শান্তা তার বাপের বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে বলে যে যৌতুকের জন্য তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।

এই বিষয়টির সমাধানের জন্য গতকালও বৈঠক হয়। ঐখানে শান্তা বলে  যে ,তার সাথে সংসার করবেনা। সংসার না করার কারণ জানতে শান্তার ঘরে গেলে শান্তার মা তাকে থাপ্পড় দিতে শুরু করে আর শান্তা তাকে গালাগালি শুরু করে এবং মাবুদের ছেলে মামুন চুরি নিয়ে তার উপর হামলা করতে আসে তখন সে রাগ সামলাতে না পেরে সেই চুরি দিয়ে শান্তার উপর হামলা করে।

এই বিষয়ে ৫নং হেটিখাইন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নাছির বলেন,আমার শরীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে আমি যেতে পারিনি তবে যতটুকু শুনেছি যা করতেছে সব ছেলেটাই করতেছে। ওকে সবাই অনেক বুঝানোর চেষ্টা করতেছে তবে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।

শান্তার মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত অফিসার এসআই নুরুল আলম । তিনি সংবাদ মাধ্যম কে জানাই,  গতকাল শান্তা নামের এক মহিলা স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে   চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে । তিনি এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে।

ছবি ওতথ্য-সংগৃহিত২৬/০৮/২১ইং

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ