ডিসেম্বরের মধ্যে ইউপি নির্বাচনের ইংগিত ইসি’র:আজ বসছে জরুরী সভা

 বিশেষ প্রতিবেদনঃ০২সেপ্টেম্বর

আগামী  ডিসেম্বর ২০২১সালের মধ্যে সব ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে  কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন । তাদের মেয়াদ শেষের আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে ভোট করতে না পারায় এতদিন স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা ছিল।

আগামী বছর মধ্য ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হবে বর্তমান ইসির। কোভিড সংক্রমণ নিম্নমুখী হলে এর আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নির্বাচন উপযোগী সব প্রতিষ্ঠানের ভোট শেষ করতে চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

গতকাল ১ সেপ্টেম্বর  বুধবার জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ  বলেন, “বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হবে ফেব্রুয়ারিতে। এ জন্য চার ধাপে ইউপি ভোট ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।“

এমন পরিকল্পনা নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা ‘উন্নতির’মধ্যে ভোটের তারিখ নির্ধারণে বসছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকালে সিইসির সভাপতিত্বে কমিশন সভা রয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ইউপি, নির্বাচন উপযোগী কিছু পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ, সংসদীয় আসনের উপ নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হবে। স্থগিত প্রথম ধাপের ১৬৭ ইউপি, কয়েকটি পৌরসভা, কুমিল্লা-৭ আসনের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে কমিশন সভায়। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ইউপির বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ২৯ অগাস্ট মৌলভীবাজারে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান, সারাদেশের ইউপি নির্বাচন, উপজেলা, পৌরসভা নির্বাচন শেষ করব- এমন পরিকল্পনা রয়েছে। “আমরা চাই- ভোট শেষ হয়ে নতুন জনপ্রতিনিধি আসবে। যে পরিবেশ রয়েছে তাতে নির্বাচন করা যাবে, অসুবিধা হবে না। তখন তিনি আরও বলেছিলেন, “২ সেপ্টেম্বর কমিশন সভা রয়েছে। সেদিন আমরা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করব। করোনার কারণে যেসব বন্ধ রয়েছে প্রথমে সেগুলো করবো; তারপরে যেসব নির্বাচন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে সেগুলো ধাপে ধাপে করে ফেলব।”

করোনাভাইরাস মহামারীর দেড় বছরে গত জুলাই ও অগাস্টের প্রথম দিকে বেশ খারাপ অবস্থা পার করে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় নয় দিন তা শিথিল করা হয়েছিল।

ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে আবার লকডাউন শুরু হলেও এর মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। এরমধ্যেই ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ১ অগাস্ট সব রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি মেলে। এরপর ১১ অগাস্ট থেকে লকডাউন তুলে নিয়ে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন, বিপণি বিতান ও দোকানপাট ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়। কয়েক দফার টানা কঠোর লকডাউন শেষে এখন স্বাভাবিক সময়ে ফিরেছে দেশ।

 এদিকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাও আগামী ডিসেম্বরে ইউপি নির্বাচন ,পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ  উপযোগী কিছু নির্বাচন করার ব্যাপারে ইসির প্রস্ততি রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে হাল নাগাদ ভোটার, নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও অন্যান্য প্রস্ততি আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিসের রয়েছে বলে জানান।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ