প্রচন্ড শীত থাকবে আরও দুই থেকে তিনদিন তা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতর। তবে তীব্র শীত আরাম দেয় অধিকাংশকে। তবে খেটে খাওয়া মানুষ অসহ্য ও যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছে।
তবে রোববার (১২ জানুয়ারি) দিনের বেলা সূর্যের আলো দেখা বড় ভার। ফলে কয়েকদিন রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ছিল কনকনে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ এলাকা শনিবার ও রোববার মেঘ ও কুয়াশায় ঢাকা পড়ে ছিল। বাকি এলাকায় কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও দিনের তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। ফলে কনকনে শীতের অনুভূতি কমেনি।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘মেঘলা আকাশ রোববার দিনের বেলায় থাকবে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে হয়তো এই রকম কমে আসতে পারে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে শীতের তীব্রতা দুই বা তিনদিন একই রকম থাকবে। এখন যে বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে, তা ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারে। ১৫ জানুয়ারি থেকে হয়তো তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একটা স্টেশনে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বলি না। এজন্য আজকে শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলছি না।’
অন্যদিকে পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তার পরবর্তী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তার পরবর্তী পাঁচ দিনে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা, গরম কাপড়চোপড় পরিধান ও টাটকা খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন
Discussion about this post