হাঁটতে হাঁটতেই ঢুঁ মেরে গেলেন তিনি। মন্ত্রীর প্রটোকল নেই, আঁঠার মতো লেগে থাকা কর্মীবাহিনীর ভিড় নেই। এমনকি জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাদেরও তিনি সঙ্গে আনলেন না। এখানেই শেষ নয়। সঙ্গে আসা সহকর্মীদের অনুরোধ করলেন, সবাই যেন নিচেই থাকেন।
একাকী এসে তিনি গম্ভীর মুখে উপদেশ বর্ষণ করলেন না, আসন গ্রহণ করে দিলেন না ভারী বক্তব্যও। আর দশজন সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীর মতোই শ্রম দিলেন। বাচ্চাদের সঙ্গে কাটালেন অন্তরঙ্গ সময়। যেন পাশের বাড়ির যুবকটি এলেন আর গেলেন। কিন্তু না, তিনি সাধারণ কেউ নন। সংসদ সদস্য তিনি, তার চেয়ে বড় পরিচয়— তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী। এর চেয়েও বড় পরিচয়— তিনি চট্টগ্রামের জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান। তিনি মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সূত্রে আগেই তিনি পরিচিত ছিলেন ব্যতিক্রমী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। ফেসবুক পেইজে ম্যাসেজ দিয়ে একবার জানিয়েছিলেনও যে, আসবেন দেখতে। চট্টগ্রামের ২ নম্বর গেটের কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার নুরুল আলম মাস্টার লেইনে বিদ্যানন্দের কার্যালয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসাও ওই এলাকাতেই। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের বাসায় ফেরার পথে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে হঠাৎ তিনি চলে গেলেন বিদ্যানন্দে পড়ুয়া ছিন্নমূল শিশুদের স্কুলে। একাই গিয়ে সময় কাটালেন শিশুগুলোর সঙ্গে। ফেরার আগে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীদের আড়ালে ডেকে তুলে দিলেন পাঁচ হাজার জনের আহারের টাকা।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন একটি শিক্ষা সহায়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সরকার নিবন্ধিত সংগঠনটি সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করে থাকে। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির ৮টি শাখা রয়েছে। বিনামূল্যে শিক্ষাদান, বইপত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, উন্মুক্ত পাঠাগার সেবা, শিশুদের এক টাকায় খাদ্য প্রদানসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি পরিচালিত হচ্ছে কোন প্রাতিষ্ঠানিক অনুদানে নয়, বরং সাধারণ মানুষের সরাসরি অনুদানে। এই সংগঠনের অন্যতম উদ্যোগ হচ্ছে ‘১ টাকায় আহার’ যার মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিন দেড় হাজার দুঃস্থ মানুষের মাঝে মাত্র ১ টাকায় খাবার তুলে দেওয়া হয়। রমজানে এই উদ্যোগটি রূপান্তরিত হয় ‘১ টাকায় ইফতার ও সেহরি’ নামে
Discussion about this post