নিজস্ব প্রতিবেদকঃ০৫সেপ্টেম্বর
ইসকন চট্টগ্রামের বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী প্রবর্তক সংঘের বর্তমান কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে লিখিত বক্তব্যে বলেন,প্রবর্তক সংঘের গুটিকয়েক নেতারা বলে আমরা নাকি তাদের জায়গা জবর দখল করেছি। আমরা নাকি মন্দিরের নামে আনা মূল্যবান পাথর বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছি। মন্দির নির্মাণে অনুদানের টাকা লুটপাট করেছি।
যদিও এসব তারা প্রমাণ করতে পারবে না। কারণ সত্য চিরন্তন। বলতে গেলে ঋষি মতিলালের প্রতিষ্ঠিত প্রবর্তক সংঘের স্মারকের উদ্দেশ্য বৃদাঙ্গুলি দেখিয়ে বহুমূল্যের ভূমি কমমূল্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়ে ও অনাথের অর্থ লুটপাট করে তারাই দেশের বাইরে অর্থ পাচার করছে। নিজেদের আখের গোচ্ছাছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘ইসকন যদি তাদের জায়গা দখল করে বেআইনিভাবে মন্দির ও স্থাপনা নির্মাণ করেই থাকে তাহলে এসব স্থাপনা যৌথ স্বাক্ষরে সিডিএসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরে পাস হলো কিভাবে? বিদ্যুৎ সংযোগ , পানির লাইন সবই ইসকন মন্দিরের নামে হলো কিভাবে? মন্দিরের কাজে তাদের সম্পৃক্ততা থাকতো তাহলে তারা জানতো যে ভারত থেকে মন্দিরের জন্য অনুদানকৃত ৩৭০ মেট্রিক টন মার্বেল পাথরের শুল্ক মওকুফ হয়েছে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে। সেগুলোর শতভাগ ব্যবহার হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুজন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।’
তিনি অভিযোগ করেন, প্রবর্ত্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি বাবু জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে প্রবর্তক সংঘের নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য মোতায়ন করেছে। প্রবর্ত্তক সংঘের অরক্ষিত যেসব জায়গা ও স্থাপনা রয়েছে সেখানে নয় ইসকন মন্দিরে মোতায়ন করা হয়েছে।
অথচ মন্দিরের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও আমাদের নিজস্ব আনসার রয়েছে। এটা করে তারা প্রমাণ করতে চায় আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছি। কারণ তারা যখন আবারও মন্দিরের স্থাপনা ভাঙতে চাইবে তখন আমরা বাঁধা দিলে আনসার সদস্যদের সামনে দিয়ে ফায়দা হাসিলের হীন প্রচেষ্টা চালাবে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমান প্রবর্ত্তক সংঘের সাথে সকল বিরোধ মিটিয়ে আগের মত ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটা মিটমাটের জন্য চসিকের পাঁচজন কাউন্সিলরও দু’পক্ষের সাথে বৈঠক করেন কিন্তু প্রবর্তক সংঘের নেতার মাঝপথে সটকে পড়েন। তার কারণে কেউ এটা নিষ্পত্তি করতে পারছে না। যেটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাস্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত ইসকন নোয়াখালী মন্দিরের অধ্যক্ষ রসপ্রিয় গৌর দাস অধিকারী, ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন কক্সবাজার মন্দিরের অধ্যক্ষ রাধাগোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন ফেনী মন্দিরের অধ্যক্ষ নিতাই গৌরাঙ্গ দাসাধিকারী, ইসকন কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি মন্দিরের অধ্যক্ষ সুদর্শন জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী, বান্দরবান মন্দিরের অধ্যক্ষ উজ্জ্বল বর্ণ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, নন্দনকানন রাধামাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ পণ্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী ও চাঁদপুর ইসকনের সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
Discussion about this post