চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চুয়েট পরিবার।
১০ জানুয়ারি (শুক্রবার), সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকাল ৩টার সময় কেন্দ্রীয় নির্দেশনার সাথে সমন্বয় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বরে স্থাপিত মুজিব বর্ষের কাউনডাউন ঘড়ি উম্মোচন করা হয়।
এ সময় চুযেট ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আজকের দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের পরেও আমাদের অপূর্ণতা ছিল। কারণ জাতির জনক তখনও ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেন তখনই স্বাধীনতার পূর্ণতা এসেছিল। বঙ্গবন্ধু একটা ভঙ্গুর দেশকে নিজস্ব মেধা ও দক্ষতায় গড়ে তুলেছেন। সেদিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে একটা দেশকে মাত্র তিন বছরের কম সময়ের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত করার মিশনে নেমেছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপলাভ করেছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ হোক উন্নত ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখার চেষ্টা করা।”
এদিকে চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে সকালে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান ফটক ও মেডিকেল সেন্টার হয়ে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্ত্বরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহানের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন ছত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ও মানবিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম।
Discussion about this post