বিশেষ সংবাদঃ১৯আগস্ট
পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ,অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিগত ২০০৫ সালের ১৭ই আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্য বদিউল আলম ২০০৫ সালের ততকালীন বিএনপি জামাত জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি নেত্রী তার ছেলে তারেক রহমান এদেশীয় পাকিস্তানি দোসরদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসবাদের সরকার কায়েম করতে চেয়েছিল।
তারা ইসলামী স্টেইটের আদলে বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে উগ্র সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ জঙ্গিদের বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। হওয়া ভবন ছিল এসব জঙ্গি কার্যক্রমের অঘোষিত হেডকোয়াটার। জঙ্গি গডফাদার তারেক জিয়া অবৈধ অর্থায়ন অস্ত্রের যোগান দিয়ে বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানসহ মৌলবাদী জঙ্গিদের এদেশে জঙ্গিবাদ কায়েম করতে চেয়েছিল। দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার নীলনকশা হিসেবে ২০০৫ সালের ১৭ই আগষ্ট সারা বাংলাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। পূণ্যভূমি সিলেটে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীকে টার্গেট করেও হামলা করা হয়েছিল।
সমগ্র দেশকে একযোগে কাঁপিয়ে দিয়ে দেশের মানুষের মনে ভীতি তৈরি করে তারা জঙ্গিবাদের নীলনকশা সফল করতে মরিয়া ছিল। তখন মানুষের পাশে দাড়িয়েছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে এই জঙ্গি ও তাদের মদদ দাতাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, জঙ্গি দমমে সরকারের সফল অভিযান চলমান আছে, আমাদের সকলকে এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। ইন্শাআল্লাহ বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলায় জঙ্গিবাদের ঠাই হবে না। তিনি ১৭ই আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে যারা তাদের আপনজন হারিয়েছিলেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।
পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬০’দশকের ছাত্র নেতা ও মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক মোঃ আহমদ নুর, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা জামশেদ আলম, খোরশেদ আলম, মোঃ জফুর, আওয়ামী লীগ নেতা ফজল দৌলতী, কাজী মামুন, রনি বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা লিটন বড়ুয়া, সুজন বড়ুয়া, তৌহিদুল আলম জুয়েল, উজ্জ্বল ঘোষ, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, বাদশা মিয়া, জেলা ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন কাউসার আসাদ, সাজ্জাদ হোসাইন, মিসবাহউল করিম ইরাজ, মোঃ রুবেল, মোঃ আসিফ, মোঃ ইজতিয়াক প্রমূখ।
Discussion about this post