বিনোদন ডেস্কঃ১৯আগস্ট
আজ থেকে খুলে যাচ্ছে সব ,করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ শেষে । দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিনোদন-পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়া হচ্ছে। চলাচল করবে গণপরিবহনও। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের অভিমত, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ফের বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য সরকারকে টিকাদান কার্যক্রমের ওপর জোর দিতে হবে।
দেশের অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সরকার। গণজমায়েত ছাড়া সব কিছুই চলবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বিনোদন কেন্দ্র গুলোর প্রতি আমাদের নজরদারি থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় আসন সংখ্যার অর্ধেক ক্রেতা নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ টিম। সৈকত ও অন্যান্য খোলা বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে জনসমাগম এড়ানোর জন্য মোবাইলকোর্ট ও পুলিশ কাজ করবে। আর গণজমায়েত প্রসঙ্গে বলেন, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক টিম এবং টুরিস্ট পুলিশ সচেতনতার কাজে থাকবেন এবং তা না মানলে জরিমানা গুনতে হবে পর্যটক -দর্শনার্থীদের।
পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন ও সরকারি সব ধরনের নির্দেশনা প্রতিপালনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন । সৈকতে দর্শানার্থীদের মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় এড়িয়ে চলার বিষয়ে মাইকিং করে জনগণ কে সচেতন করবেন বলে প্রতিবেদক কে জানান।
দীর্ঘদিনের কঠোর বিধিনিষেধের পর দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কিছুটা কমে এসেছে। তবে বিধিনিষেধ শিথিল করার পর গত কয়েকদিনে সংক্রমণ ও মৃত্যু ফের কিছুটা বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের বুধবারের হিসাবে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৮ জন। এর কয়েক দিন আগে মৃত্যুর হার ছিল ৫ থেকে ৭-এর মধ্যে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সবকিছু খুলে দেওয়ার পর প্রধান কাজ হবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলা। একই সঙ্গে টিকাদানের ওপর জোর দিতে হবে সরকারকে। বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনতে পারলে সংক্রমণ অনেকটা কমে আসবে। টিকাদান ছাড়া সংক্রমণ রোধে বিকল্প কোনো উপায় নেই। উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে সব কিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এতে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার ওপরই অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, হাসপাতালে এখনো করোনা রোগীর চাপ রয়েছে। আইসিইউ ও শয্যা সংকটও কাটেনি। এরমধ্যে তাড়াহুড়ো করে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া উচিত হয়নি। আরও কিছুদিন বাড়ানো হলে ফলাফল ভালো পাওয়া যেত। এখন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলা এবং জনসমাগম এড়িয়ে না চললে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
বিনোদন-পর্যটনকেন্দ্র ও রিসোর্টের সঙ্গে শর্ত মেনে চলাচল করবে গণপরিবহনও।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘নগরীতে গাড়ি সংকটের কারণে অফিস সময়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলাটা কঠিন হবে। কারণ নগরীতে গণপরিবহনের সংকট রয়েছে। তার সঙ্গে বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও গার্মেন্টশিল্পের শ্রমিক পরিবহনের জন্য অর্ধেক গাড়ি রিজার্ভ চলে যায়। এই কারণে সকাল ও বিকেলে-অফিস সময়ে গণপরিবহনের সংকট তীব্র রূপ নেয়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। তারপরও আশা কথা হচ্ছে, গণপরিবহনে এখন ৮০ শতাংশ যাত্রী মাস্ক পরে। নিজেদের সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘সকালে গাড়ি বের করার সময় স্যানিটাইজ করে স্প্রে করা ও যাত্রীদের মাস্ক নিশ্চিত করার বিষয়ে মালিকদের নির্দেশনা রয়েছে।’
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সবকিছু খুলে দেওয়ার পর প্রধান কাজ হবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলা। যদি এই বিধি নিষেধ মানাতে ব্যর্থহন তাহলে চরম স্বাস্থ্যঝুকিঁতে পড়তে পারে জনসাধারণ…!
Discussion about this post