নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১৮আগস্ট
নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১ জনের লাশ গত দুইদিনে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ ৪ জন ও কোস্টগার্ড ৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে নারীপুরুষ ও শিশু রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানা পুলিশ একজন এবং কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের টিম ৭ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। এর আগে গত সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্দ্বীপ থানা পুলিশ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশীর আহম্মেদ খান। তিনি বলেন, গত সোমবার দুপুরে আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে ১০-১২ বছর বয়সী এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আনুমানিক ৬ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশগুলো উদ্ধারের পর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্বজনরা তাদের লাশ শনাক্ত করবেন।
এদিকে সাগরে টহলরত কোস্টগার্ড টিম মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সন্দ্বীপের ছোয়াখালি খাট এলাকা থেকে ৫ জন, বাউরিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে এক মেয়ে শিশু এবং সন্তোষপুর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। মোট ৭ জনের মধ্যে আনুমানিক ৬ বছর বয়সী তিন মেয়ে শিশু ও দুই ছেলে শিশু এবং একজন ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ আছেন।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. আব্দুর রউফ বলেন, ‘সন্দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আমরা মোট সাতজন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছি। লাশগুলো উদ্ধারের পর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।’
Discussion about this post