বিশেষ প্রতিবেদনঃ১২আগস্ট
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর( পিপিএম )বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আমাদেরকে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা সহ্য করেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে।
সেইদিন বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি সমগ্র বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরে ছিলেন। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। তাই শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
১২ আগস্ট , বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে জাতির পিতা ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীর জিইসি মোড়ে আয়োজিত অসহায় মানুষের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ১ হাজার অস্বচ্ছল ও অসহায় মানুষের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সিএমপি কমিশনার বলেন, ১৯৭৫ সালের নারকীয় হত্যাকান্ডের পর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা ছিল তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। সমস্ত ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে আপনারা দেশকে ভালোবাসুন, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দাড়ান। যে ব্যক্তি আজীবন দেশের স্বাধীনতা ও এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন তাঁকেই সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে। আমরা দূর্ভাগা জাতি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারাই আজ ইতিহাস বিকৃত করছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদেরকে সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হতে হবে।
কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শফর আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তারেক মাহমুদ চৌধুরী পাপ্পু প্রমূখ।
খাবার বিতরণের কর্মসূচী ঃ আজ ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর জিইসি মোড়, ওয়্যারলেস গেইট, অলংকার মোড়, বায়েজিদ মাজার গেইট, অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা ।
আগামী ১৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে কর্ণফুলীস্থ রিভারভিউ ক্লাব, নতুন ব্রীজ, কালামিয়া বাজার, চান্দগাঁও থানা মোড়, মেয়র গলি ও বহদ্দারহাট মোড় এবং ১৫ আগস্ট রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে, এক্সেস রোড, নয়াবাজার, বড়পোল, নিমতলা মোড়, স্টিল মিল বাজার, কাটগড় আজিজ চত্ত¡র, শুভপুর বাস স্টেশন ও কদমতলী মোড়।
খাবার বিতরণ কর্মসূচী সফল করার জন্য মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ অনুরোধ জানিয়েছেন।
Discussion about this post