পটিয়া প্রতিনিধিঃ ১২ আগস্ট
চাটগাঁইয়া গানের কিংবদন্তি শিল্পী, সংগীতজ্ঞ আবদুল গফুর হালীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিল্পী সিরাজুল ইসলাম আজাদের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অবান্তর অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে পটিয়ার সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সুধীজন।
বক্তারা বলেন, শ্রদ্ধেয় একজন মৃত শিল্পীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বানোয়াট ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপপ্রচারকারীর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।তাঁরা বলেন, জীবদ্দশায় কেউ আবদুল হালির গান নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি এমনকি বর্তমানে যিনি অপপ্রচারে লিপ্ত তিনিও তার লেখা ও সুর করা গান নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেননি।
অথচ এখন আবদুল হালি যখন বেঁচে নেই, প্রশ্নকারীর অসত্য কথার জবাব দিতে পারবেন না তখন তার সম্পর্কে তথ্য প্রমানহীন অসত্য অভিযোগ করে নিজের হীনমন্যতা ও অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় পটিয়া থানার মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, গফুর হালী কালজয়ী শিল্পী। তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গান নকল বা কপি করার ভিত্তিহীন স্টাটাস দিয়ে সিরাজুল ইসলাম যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
অন্যথায় সিরাজুল ইসলাম ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আর গফুর হালীর মত ক্ষণজন্মা শিল্পীদের অবস্থান ইতিহাসের পাতায় ও মানুষের মনের মনিকোঠায় সব সময় শক্তপোক্ত ভাবে অবস্থান করবে। এই রকম মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
কিংবদন্তী শিল্পী আবদুল গফুর হালীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সিরাজুল ইসলাম আজাদ সাহেবের উচিত গুনীজনকে সম্মান করা। ভুল স্বীকার করা। অন্যতায় মিথ্যাবাদী সিরাজুল ইসলাম আজাদকে পটিয়া বাসী রুখে দিবে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পটিয়া শিল্পকলা একাডেমির সাঃসম্পাদক মনজুর আহম্মেদ, প্রেসক্লাবের সাঃ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিলীপ দাশ, সংগীত শিল্পী ফেরদৌস হালী, সৃজনশীল সাহিত্য গোষ্ঠী মালঞ্চের সংগঠক সেলিম উদ্দিন, গফুর হালীর নাতনী জামাই মফিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সংগীত শিল্পী আবদুস সাত্তার, প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির সিনিয়র সদস্য শিমুল মল্লিক, একাডেমির সংগীত শিক্ষক শিবু মল্লিক প্রমুখ।
প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেনগফুর হালীর মত একজন কিংবদন্তি শিল্পী যিনি ২০০০ অধিক গান রচনা করেছেন । যারা শব্দের সাথে শব্দ মিলে গেলে, সুরের সাথে সুর কিছুটা মিললেই আরেকজন গুণী শিল্পীকে নকল বা চুরির দায়ে অভিযুক্ত করে, তাঁরা প্রকৃত শিল্পী হতে পারে না। এ মিথ্যাচার ও শিল্পীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। সারা দেশের সচেতন ও সংগীত প্রেমী মানুষদের উচিত এই ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।
Discussion about this post