নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১১আগস্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ ও সূর্য সন্তান। জাতির জন্য তাঁদেরকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে হানাদারমুক্ত করার মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সহ্য করতে না পেরে দেশ বিরোধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে।
এর মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীর ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
তাই শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ১১ আগস্ট বুধবার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দারুল ফজল মার্কেটস্থ সংসদের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অসহায় মানুষের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১১ আগস্ট থেকে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্বচ্ছল ও অসহায় মানুষের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানার কোন শেষ নেই। তিনি অত্যন্ত দুরদর্শী নেতা ছিলেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই তিনি আজীবন যুদ্ধ করে গেছেন। যে ব্যক্তি আজীবন দেশের স্বাধীনতা ও এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন তাঁকেই সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে। আমরা দূর্ভাগা জাতি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারাই আজ ইতিহাস বিকৃত করছে। জাতির পিতা হত্যাকারী ও ইতিহাস বিকৃতকারীতের চিহ্নিত কওে আইনের আওতায় আনা জরুরী।
নগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ.এফ আকবর খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.ওমর ফারুক রাসেল প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীন বিভিন্ন থানা কমান্ডের কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। রান্নাকরা খাবার বিতরণের কর্মসূচী ঃ আজ ১১ আগস্ট বুধবার দুপুরে নগরীর দারুল ফজল মার্কেট,কাজির দেউরী, জামালখান, আন্দরকিল্লা, দিদার মার্কেট ও চকবাজারে অস্বচ্ছল ও অসহায় মানুষের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণ করা হয়।
১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর জিইসি মোড়, ওয়্যারলেস গেইট, অলংকার মোড়, বায়েজিদ মাজার গেইট, অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা, ১৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে কর্ণফুলীস্থ রিভারভিউ ক্লাব, নতুন ব্রীজ, কালামিয়া বাজার, চান্দগাঁও থানা মোড়, মেয়র গলি ও বহদ্দারহাট মোড় এবং ১৫ আগস্ট রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে, এক্সেস রোড, নয়াবাজার, বড়পোল, নিমতলা মোড়, স্টিল মিল বাজার, কাটগড় আজিজ চত্তর, শুভপুর বাস স্টেশন ও কদমতলী মোড়।
কর্মসূচী সফল করার জন্য মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ অনুরোধ জানিয়েছেন।
Discussion about this post