ডেস্ক নিউজঃ৫আগস্ট
দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেবো, কারণ বৃদ্ধ লোককদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলাপারসহ সবাইকে ভ্যাকসকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবে না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে।
সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর সাথে সাথে ওয়েবসাইটে দিয়য়ে দেবো। ভ্যাকসকসিন নিয়েছে কিনা যাচাই করতে পারবরব। ৭, ৮, ৯ তারিখ সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারে। সময় বাড়াচ্ছি তা, ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। ১১ তারিখ থেকে যাতে খুলতে পারে সেই সুযোগ রেখেছি।
এর আগে করোনার সংক্রমণরোধে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়।
গত ২৩ জুলাই থেকে সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তবে এর মধ্যেই গত রোববার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে রপ্তানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা।
Discussion about this post