নিজস্ব প্রতিবেদকঃ০৪আগষ্ট
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশকে ধ্বংস করার যে অপচেষ্টা চলছে তা প্রতিহত করতে হবে। সিআরবির ঐতিহ্য সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকা রক্ষার আন্দোলনে সকল পরিবেশবিদ সহ দল-মত নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে। কেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এতো জায়গা থাকতে সিআরবিতে ৬ একর জায়গা বরাদ্দ দিল তা এখন চট্টগ্রামবাসী জানতে চায়? আমরা আগেও স্পষ্ট ভাষায় বলে আসছি সিআরবিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালটিকে আধুনিকায়ন করে পূর্ণাঙ্গ একটি কোভিড হাসপাতাল করে তাতে চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হবে।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরয়ের সদিচ্ছা থাকলে সিআরবির বক্ষব্যাধি হাসপাতাল কে আধুনিকায়ন করে পূর্ণাঙ্গ একটি কোভিড হাসপাতালে রুপান্তরিত করতে পারে। পাশাপাশি রেলওয়ে অন্য যে কোন জায়গায় বরাদ্দকৃত ৬ একর ভূমির উপর আর একটি হাসপাতাল করা অসম্ভব।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্পের গ্রাসে ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম শহরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থান,পার্ক, খেলার মাঠ ধ্বংস করা হয়েছে। এখন অবশিষ্ট সি.আর.বি এলাকাও আজ মুনাফার লালশায় ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে।উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগণের ট্যাক্স, ভ্যাট এর টাকা আত্মসাৎ করছে সরকার। দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিকতার কারণে সরকারের প্রকল্প গুলোর আজ বেহাল দশা।
তিনি ৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের একমাত্র নৈসর্গিক মুক্তাঙ্গন, হেরিটেজ জোন সিআরবি রক্ষায় গণঅধিকার ফোরাম ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা) এর উদ্যোগে সিআরবিতে বাণিজ্যিক হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের কবর ও স্মৃতির স্মারক রক্ষা এবং সিআরবি’র নৈসর্গিক পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান ও মানববন্ধন সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে চট্টগ্রাম গণঅধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণঅধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে ভূলণ্ঠিত করে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
একরামুল করিম বলেন, সিআরবির পরিবেশ প্রকৃতি বিপন্ন করে মুনাফালোভীদেরকে হাসপাতাল করতে দেয়া হবে না।
গণঅধিকার ফোরামের মহাসচিব এম এ হাশেম রাজু বলেন, রেলমন্ত্রীসহ চট্টগ্রামের কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সিরআরবির মত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রভূমি, নান্দনিক প্রাকৃতিক অবস্থান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের কবরগুলোকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। সবাইকে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে সিআরবি সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
এডভোকেট মফিজ হক ভূঁইয়া বলেন, দেশের আইনকে তোয়াক্কা না করে সিআরবির পরিবেশ ও ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করার প্রক্রিয়া আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে মোকাবেলা করা হবে।
বাপসা এর যুগ্ম আহবায়ক এস এম কামরুল ইসলাম বলেন,বহু জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ করা যাবে কিন্তু হাজার কোটি টাকা দিয়েও আর একটি সিআরবি পাওয়া যাবে না। সিআরবির অপূর্ব পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম গণঅধিকার ফোরামের মহাসচিব এম এ হাশেম রাজুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার ফোরাম-চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, রাজনীতিক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ইকো ফ্রেন্ডস এর সভাপতি উত্তম কুমার আচার্য্য, গণঅধিকার ফোরাম এর যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, আলমগীর নূর, ক্যাব নেতা জানে আলম, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, যুবনেতা আসাদুর রহমান টিপু, বাংলাদেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা) এর যুগ্ম আহবায়ক এস এম কামরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, যুবনেতা মোহাম্মদ মামুন, আকতার হোসেন, রাজনীতিক মহিউদ্দিন আজম, আসাদুর রহমান টিপু, কবি নূরুন্নবী, ছাত্রনেতা সামিয়াত আমিন জিসান প্রমুখ।
Discussion about this post