পটিয়া প্রতিনিধিঃ০৩আগষ্ট
পটিয়ায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন টিকা প্রদানের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি। ৩ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে ৩৫ পৃষ্ঠার বিভিন্ন নথি উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দেন কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো. সার্জারি) ডা. অজয় দাশ।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি তাঁদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাঁরা প্রতিবেদনটি সরাসরি স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা দেন। তবে প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের দেয়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তদন্ত করেন। এরমধ্যে রবিউল রেজিস্ট্রেশনকৃত ২ হাজার ৬ শ’ জনকে টিকা দিয়েছেন বলে উপস্থাপন করেন। যদিও তদন্ত
সূত্রে জানা যায়, কমিটি সার্ভারের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি পেয়েছেন। এর আগে গত ৩০ ও ৩১ জুলাই সিনোফার্মের ভ্যাকসিন অন্যত্র নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনবিহীন লোকদের প্রদান করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেন। তিনি নিজ ইউনিয়ন পটিয়া উপজেলার শোভনদ-ীতে আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয় ও শোভনদ-ী স্কুল এন্ড কলেজে আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রায় চার হাজার মানুষকে টিকা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায় যার কোনো অনুমতিই দেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। তাছাড়া এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কিছুই জানত না খোদ স্বাস্থ্য বিভাগও। মূলত নিজের কাছে রক্ষিত থাকায় অননুমোদিতভাবে টিকা ভাগিয়ে এমন কর্মকা- ঘটান রবিউল।
ঘটনা জানাজানি হলে গত শনিবার ৩১ জুলাই বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো. সার্জারি) ডা. অজয় দাশকে আহ্বায়ক, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খানকে সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নুরুল হায়দারকে সদস্য করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ দাখিল করতে বলা হয়। ইতোমধ্যে এক কার্যদিবস পেরিয়ে গেছে।
Discussion about this post