নিজস্ব প্রতিবেদকঃ৩১জুলাই
করোনা রোগীর সেবায় পূর্ণাঙ্গ ডেডিকেটেড আইসিইউ ইউনিট চালু করেছে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়স্থ এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ১৬ শয্যা বিশিষ্ট ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) চালুর মাধ্যমে এ ডেডিকেটেড সার্ভিস চালু করেছে হাসপাতালটি। এছাড়া ১০টি এইচডিইউ বেড এবং পর্যাপ্ত হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে হসপিটালটিতে।
আজ শুক্রবার নগরীর জিইসি মোড়স্থ এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৬ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান।
এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোর্শেদ হোসাইনের সভাপতিত্বে এর উদ্বোধক ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চসিক প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর, ডা. সৈয়দ নুরুল কিবরিয়া, ডা. মাহাদী হাসান রাসেল প্রমুখ।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মহামারি করোনার এ সময়ে এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটালের আইসিইউ ইউনিট চালু প্রশংসনীয় উদ্যোগ। হাসপাতালগুলোয় শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে করোনা রোগীদের সেবা দিতে হবে। পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সরকারের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। মুনাফা না দেখে মানবিক দিক বিবেচনায় এ দুর্দিনে সেবা দিতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, করোনাকালীন এ সময়ে আইসিইউ সংকটে মানুষের জীবন ঝূকির মধ্যে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল মানুষের সেবার কথা চিন্তা করে আইসিইউ সংখ্যা বাড়িয়েছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের ও সময়োপযোগী।
উল্লেখ্য, এশিয়ান হাসপাতাল ১০০ বেড বিশিষ্ট। এতে রয়েছে ২২৫ জন কর্মচারী এবং ২ টি ও.টি রুম, আইসিইউ, সিসিইউ, নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট , এইচ ডি ইউ, ভিআইপি কেবিন, জেনারেল কেবিন, ফার্মেসী, আন্তঃ বিভাগ ও বহিঃ বিভাগে রোগীর চিকিৎসা সেবা, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রভৃতি। হাসপাতালটি এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে সেবা দিয়েছে। হসপিটালে ১০টি এইচডিইউ বেড এবং পর্যাপ্ত হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে।
Discussion about this post