দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধিঃ২৬জুলাই
গতকাল রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে কঠোর লকডাউনে তৃতীয় দিন মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে লোকজন ও যানবাহন নিয়ন্ত্রন করে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। অভিযান পরিচালনা করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমি নিলুফা ইয়াসমিন।
সকালের মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৮টা হতে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৪টা ৬টা হতে পর্যন্ত কাগজীপাড়া,মনসা বাদামতলা,শান্তিরহাট,বাহুলী, পৌরসভা, থানার মোড় ইত্যাদি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১০টি মামলায় ৭৬০০টাকা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ৯টি মামলায় ৪৬০০/- টাকা জরিমানা করেন। অনেক স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ কে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠায় এবং রাস্তায় সকল গাড়ি চেক করা হয়।
নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট নিলুফা ইয়াসমিন পটিয়ায় সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজনকে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করার অনুরোধ করেন।লকডাউনে বিয়ের আয়োজন করায় পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশে বর-কনে উভয় পক্ষকে জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে শুক্রবার(২৩ জুলাই)উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী ভূমি কমিশনার পটিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তারা এলাকার বুধপুরা,বড়লিয়া,জংগলখাইন, উজিরপুর,শান্তিরহাট,নয়াহাট, মনসা,রেলস্টেশন এলাকাএবং গোবিন্দগীলে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।
এসময় বিধিনিষেদ অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করাতে কনের মামা আবদুল মান্নান (৩০ হাজার টাকা) ও বরের চাচাত ভাই মো. কায়েম (১০ হাজার টাকা)জরিমানা করে অভিযান পরিচালনা টিম পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ।এদিন ১০টি মামলায় ৪২০৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
লকডাউনে বিধি নিষেধ অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় এই জরিমানা গুনতে হয় আইন অমান্যকারীদের। আবদুল মান্নান উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের অধ্যাপক হেলাল আহমদ বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে এবং কায়েম একই এলাকার মো. ইউছুফের ছেলে।
সহকারী কমিশনার ভূমি নিলুফা ইয়াসমিন রকারি নির্দেশনা অনুসারে লকডাউন স্তবায়ন করা হবে।তিনি আগামী ৫ অগাস্ট পর্যন্ত অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না আসার জন্য পটিয়াবাসীকে অনুরোধ জানান।
Discussion about this post