নিজস্ব প্রতিবেদকঃ২৫জুলাই
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী এলাকার অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর স্বামী রাস্তায় পরিবহন না পেয়ে বিপদে পড়ে যান। প্রসব বেদনায় কষ্ট পাওয়া স্ত্রীকে হাসপাতালে নিতে কোন উপায় না দেখে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করে ফোন করেন কোতোয়ালী থানার ওসিকে।
খবর পেয়ে মানবিক পুলিশ তৎক্ষণাৎ সহায়তার হাত প্রশস্ত করে এবং পুলিশের সহযোগিতায় ওসির গাড়িতে করেই কুলসুম বেগম (২২) নামে ওই নারীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কুলসুম‘র প্রসব বেদনা শুরু হলে স্বামী ওমর ফারুক শান্ত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সড়কে পরিবহন না পেয়ে অস্থির হয়ে পড়েন এক পর্যায়ে উপায় না দেখে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন এর মোবাইলে ফোন করে তার অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে সাহায্য চান।
তাৎক্ষণিকভাবে ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন তাঁর গাড়িতে করেই প্রসূতি ঐ নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। জানা গেছে, পেশায় দিনমজুর ওমর ফারুক শান্ত ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগম যাত্রী ছাউনির নিচে থাকে, ওমর ফারুকের স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন চিবাতলী গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে।
কোতোয়ালী থানার সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওমর ফারুক শান্ত জানান, লকডাউনে কোন গাড়ি না পেয়ে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলাম। তখন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন। তিনি তার নিজের ব্যবহারের সরকারি গাড়িতে করে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন।
[৫] কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ওমর ফারুক শান্ত নামের এক জনের ফোন পেয়ে কোতোয়ালী থানার ডিউটি অফিসার এসআই আফরোজা চৌধুরী ও কনস্টেবল আনিসকে সাথে দিয়ে গাড়ি করে তার প্রসূতি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এই মানবিক কাজটি করতে পেরে নিজের কাছেও আনন্দ লাগছে বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দিন। তিনি আরও বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সবসময় জনগণের সেবায় প্রস্তুত টিম কোতোয়ালী।
Discussion about this post