মিডিয়া সংবাদঃ২৫জুলাই
একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের (৭১)-এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোর্ড। আজ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোর্ডের সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতারের সঙ্গীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল ও সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়
‘গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের আইসিইউতে শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
‘ফকির আলমগীর ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গণমানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথের বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সব সময় সক্রিয় ছিলেন। তিনি ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন এ মুক্তিযোদ্ধা গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর।
‘স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।
‘বাংলাদেশের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের অবদান বিশেষভাবে স্মরণ করবার পাশাপাশি আমরা তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সকল সদস্য ও অনুরাগীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন,বিরোধী দলীয় নেতা(জাপা) জিিএম কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর, সরকারের তথ্য ওসম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন,সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও জাতীয় শিল্পী সংস্থা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
Discussion about this post