মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রশিক্ষিত নৌ কমান্ডো, দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সচিব মমিন উল্লাহ পাটওয়ারী বীর প্রতীক বলেছেন, আমরা যারা সত্যিকার দেশপ্রেম নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তারা কোনো কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে যুদ্ধ করিনি। কোনো খেতাব, ভাতা কিংবা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশা করা তো দূরের কথা, আমরা বেঁচে ফিরে আসবো সেটাও যুদ্ধে যাওয়ার আগে ভাবিনি। তার উপর আমরা যারা নৌ কমান্ডো ছিলাম, তারা ছিলাম সুইসাইড স্কোয়াড। অর্থাৎ শত্রু পক্ষকে পরাস্ত বা ধ্বংস করতে গিয়ে যদি নিজের জীবন দিতে হয় তার জন্যেও প্রস্তুত ছিলাম। তাই সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেম নিয়ে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা কখনো কারো আনুকূল্য পাওয়ার জন্যে লালায়িত থাকেন না। তিনি দেশের বর্তমান উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, তবে আমাদের প্রত্যাশিত অগ্রগতি এখনো হয় নি। তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা এবং সমপ্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাজাকার যদি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়, তাহলে তার আর আমার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়। তিনি বলেন, একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি করা সম্ভব। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাঁচটি বছর যদি পুলিশ ঘুষ না খায়, তাহলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে। সব ক্ষেত্রে এই দেশের অবস্থান অনেক উপরে উঠে যাবে।
তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ লাইনস্-এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)-এর সভাপ্রধানে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্যাহ মাস্টার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অবঃ) শাহ আলম বকাউল, হাবিলদার (অবঃ) আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল করিম ভূঁইয়ার কন্যা শাহনাজ পারভীন, শহীদ উল্যাহর কন্যা ডলি, পুলিশ সুপার আব্দুল বারী মিয়ার ছেলে রিয়াজ আহমেদ কল্লোল ও মোহনবাঁশি দত্তের ছেলে অজিত দত্ত। অনেক বক্তা তার স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান।
Discussion about this post