ডেস্ক বার্তাঃ১৭জুলাই
করোনার এই মহামারীতে ঘরে বসে সাংবাদিকতা করার জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট থাকতে হবে। মনোবল থাকলে কাজ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ঘরে বসে তথ্য নিশ্চিত হতে আইটি সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। ইন্টারনেটের ব্যবহার, ঘরে থেকেও সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা, হাতের নাগালে প্রয়োজনীয় নম্বর, ব্যক্তির নামের তালিকা রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে ঘর থেকে কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, এটা যে যত বেশি অনুসরণ করতে পারবে, তার দক্ষতা তত বেশি বাড়বে।ফেসবুক মেসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে নিন, যোগাযোগ সহজ হবে। যতটুকু সময় অফিসের কাজ করবেন, তার সময় নির্দিষ্ট করে নিন। তাতে আপনাকে কখন কোন কাজ দেওয়া যাবে, তা জানা থাকবে।
কী কী কাজ আপনি করছেন তার একটি তালিকা গ্রুপে শেয়ার করে রাখুন। কাছাকাছি না থাকায় একই কাজ দুজন করে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। এতে সময় ও কর্মশক্তি দুইই নষ্ট হয়।
ঘরে কাজ করলেও অফিসিয়াল পোশাক পরে কাজে বসুন। ঘরের পোশাকে বসলেন, আর মাঝে আপনার কারো সঙ্গে ভিডিও কল করা প্রয়োজন হলো, তখন বিপাকে পড়বেন। পোশাক পাল্টে নিতে গেলে সময় নষ্ট হবে। পারলে জুতোও পড়ে নিন, ঠিক যেমনটা অফিসে পড়েন। শুনতে ফালতু শোনালেও বিশেষজ্ঞদের মত, এটা কাজে দেয়।
দুপুরের খাবারের ব্রেক নিন। যখন-তখন খাবার নিয়ে টেবিলে বসবেন না। অফিস করলে খাবারের বিষয়ে যেমনটা আচরণ করতেন, ঘরে থেকে কাজ করার সময়ও ঠিক তেমনটাই করার চেষ্টা করুন।
ঘরে বসে যদি অল্প সময়ের জন্য কাজ করতে হয়, তাহলে হয়তো অনেক ইক্যুপমেন্ট দরকার হবে না, নিজের ল্যাপটপ থাকলে একটি এক্সটার্নাল ইউএসবি কি-বোর্ড ও মাউস লাগিয়ে নিন, কাজে সুবিধা হবে।
বিছানায় বা ঘরের সোফায় নয়, সম্ভব হলে একটি টেবিলে বসে কাজ করুন। তবে টেবিলটি কম্পিউটার টেবিল না হলে, রিডিং টেবিল হলে, কি-বোর্ডে কাজ করতে গিয়ে হাতে ব্যথা ধরে যেতে পারে, বিষয়টি লক্ষ্য রাখুন।
এই যে ঘরে বসে কাজ করছেন, আপনার কম্পিউটারটি ইউপিএস সাপোর্টেড নাও থাকতে পারে। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে যা কাজ করেছেন তা হারিয়ে ফেলতে পারেন। সুতরাং কি-বোর্ডে কন্ট্রোল-এস চেপে ডকুমেন্ট সেফ করার বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে নিন।
কাজের ফাইলগুলো লোকাল হার্ডড্রাইভের পাশাপাশি কোনো একটি অনলাইন ড্রাইভেও সেভ করে রাখুন।
ঘরে থেকে কাজ করা বা অনলাইনে কাজ করা— এর প্রাণশক্তি হচ্ছে ইন্টারনেট। দেখে নিন ঘরের ওয়াইফাইয়ের কাভারেজ কেমন। কাজের টেবিলটি এমন জায়গায় রাখুন যাতে সিগন্যাল যথাযথ থাকে। এক্ষেত্রে ব্রডব্যান্ড কানেকশনই সবচেয়ে ভালো। তবে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প রাখা উচিত। মোবাইল ফোনে পর্যাপ্ত ডাটা থাকলে হটস্পট করতে হবে।
ঘরে থেকে সাংবাদিকতা কী?
একটাই কথা সরেজমিনে দেখে রিপোর্টিং করা না হলে, সে রিপোর্ট ততটা জোড়ালো হয় না। কিন্তু, নতুন করোনাভাইরাসের মহামারিকালে সংবাদকর্মীকে এমনটা বলতে পারছেন না কেউই। বস্তুত কাউকে বাধ্যবাধকতায় আটকানো যাচ্ছে না। এমনকি, কেউ যদি স্বেচ্ছায় যেতেও চান তাকে আটকানো সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। কারণ কর্মীর কাজের চেয়ে তার নিরপত্তাই সবার আগে।
এ অবস্থায় কথা উঠেছে,সংবাদকর্মীরা বাসা থেকে কাজ করবেন। এরই মধ্যে শুরু করছেনও অনেকে। বিশ্বের অনেক বড় বড় সংবাদমাধ্যম তাদের কর্মীদের ঘরে থেকে কাজ করার জন্য বলেছে। দেশেও অনেক সংবাদমাধ্যমকে এমন ঘোষণা দিতে দেখা গেছে। তবে শুধু রিপোর্টিং করা তো সাংবাদিকতা নয়, সংবাদ প্রকাশ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করাও সাংবাদিকতার অংশ। এটা ঘরে বাইরে সবখানে করা সম্ভব।
কখন আমরা ঘরে থেকে সাংবাদিকতা করবো? করোনা অতিমারির মত বৈশ্বিক দুর্যোগে। যখন একেবারেই ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়া জীবনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, তখন ঘরে থেকে সাংবাদিকতা করা শ্রেয়।
ঘরে থেকে সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োজন? মোবাইলে ভিডিও ও ছবি তোলার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা সামাজিক মাধ্যম যেমন জুম, ফেসবুক, ইউটিউব ও লিংকডইনে লাইভ প্রচার সম্পর্কে ধারণা বিষয়ভিত্তিক প্রতিবেদন অনলাইন বা বিভিন্ন পোর্টালে
Discussion about this post