বিশেষ প্রতিবেদনঃ১৭জুলাই
নগরীর ডবলমুরিংয়ে জামাই-শাশুড়ির একটি জুয়ার আসর ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ জুয়ার আসরের মূল হোতা আব্দুর রহিম (৪৫) এবং তার শাশুড়ি ফরিদা বেগমসহ (৫০) দশ জনকে আটক করেছে। উদ্ধার করেছে জুয়া খেলার সরঞ্জাম।
গতকাল ১৬ জুলাই ,শুক্রবার গভীর রাতে ডবলমুরিং থানার মোগলটুলি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।আটক অন্যরা হল- মো. আব্দুল হক বাবুল (৪২), মো. মিন্টু হাওলাদার (২৭), মো. কবির (৪০), জাফরুল্লাহ (৪৯), জাহাঙ্গীর আলম (৪১), মিজানুর রহমান পারভেজ (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) ও বদিউল আলম (৪৭)।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফরিদা ও আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরেই মোগলটুলি এলাকায় জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলেন। মোগলটুলির আহসান উল্লাহ মাতব্বর বাড়িতে ফরিদার চারটি ঘর আছে। তন্মধ্যে তিনটি ঘর ভাড়া দিয়েছেন। আর বাকি ঘরটিতে জুয়ার আসর বসিয়েছেন। জামাই রহিম বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়ি নিয়ে আসতেন। মূলত রাতের বেলাতেই এই জুয়ার আসর বসে। কারণ, জামাই-শাশুড়ির এই জুয়ার আসরের জুয়াড়িদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের। সারাদিন কাজ করে রাতের বেলাতেই তারা জুয়ার আসরে বসেন।
গতকাল রাত সাড়ে বারটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফরিদা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে আসেন এবং পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করে জুয়াড়িদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউই পালিয়ে যেতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, জুয়ার আসর থেকে ৮ জনকে এবং জুয়ার আসরের পরিচালক শাশুড়ি ফরিদা বেগম ও জামাই আব্দুর রহিমকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে জুয়ায় ব্যবহৃত ২ হাজার ৭২৫ টাকা এবং ৩ সেট তাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আটক ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discussion about this post