নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১৭জুলাই
নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর নারকেলতলা হক সাহের গলির শেষ প্রান্তে মাহবুবা মেহের (২৪) নামে এক গৃহবধূ কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন শাশুড়ি নাজনীন আক্তার। শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে প্রাক্তণ শিক্ষক ও হোমিও চিকিৎসক মোঃ আবু নাছের মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুবা মেহের একই এলাকার ডা. এস এম গোফরানের স্ত্রী।
তাদের গ্রামের বাড়ী বাশঁখালী হলেও দীর্ঘদিন ধরে জায়গা কিনে নিজস্ব বাড়ী করে ৩৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হালিশহর(নারিকেল তলা) এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
নিহতের ভাতিজা মীর জুয়েল বলেন, দুপুরে বাড়ির পুরুষরা জুমার নামাজ পড়তে গেলে ডাকাতদল ঘরে ঢোকে। এ সময় চাচি মাহবুবা মেহের চিৎকার দিতে চেয়েছিলেন। তখন গলাটিপে হত্যা করে ডাকাতরা। দাদি নাজনীন আক্তারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। ঘটনাস্থলে ডাকাতির কোনো ধরনের আলামত পাওয়া যায়নি। নিহতের আত্মীয় স্বজনরা হত্যার অভিযোগ করেছেন।
এটা স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় শাশুড়ি ও স্বামীকে আনা হয়েছে। নিহতের আত্মীয় স্বজনরা শাশুড়ি হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মেহের ৭মাসের অন্ত:স্বত্তা ছিলেন।
এদিকে প্রথমে ডাকাত দলের কথা বল্লেও প্রতিবেশীরা সেই রক্ম কিছু দেখেনি কিংবা বাইরের লোকের আসার বিষয়টিও জানেন বলে বসবাসরত বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমও আগত পুলিশ টিম কে গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন।
তবে নিহতের স্বামী হোমিও চিকিৎসক এস.এম গোফরান অনেকটাই তার মা (নাজনীন আক্তার) কে দায়ি করছেন। কেন না আগে দুই স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে তালাক সহ তৃতীয়স্ত্রী( মাহাবুবা)তাদের নিকট আত্মীয় হওয়ার শর্তেও তার উপর নির্যাতন করার বিষয়টি স্বামী গোফরান থানায় উপস্থিত পুলিশ টিমের কাছে খুলে বলেন।
ঘটনাটি পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এলাকাবাসী কে হতবাগ করে তুলেছে বলে প্রবীন ওসচেতন মহল্লাবাসীরা জানিয়েছেন।তাদের ভাষ্য যে, একটি শিক্ষিত ডাক্তার,শিক্ষক ও আলেম পরিবারের মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটলে সমাজ-পরিবার কোথায় গিয়ে দাড়ঁবে…?
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইপিজেড থানা সূত্রে জানা গেছে যে,নারী ও শিশু হত্যা মামলায় শ্বাশুড়ী-শ্বশুর ,স্বামী ডাঃ গোফরান কে আটক করে মামলা দায়েরের প্রস্তৃতি চলছে।
Discussion about this post