নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১৫জুলাই
নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিল মিল বাজার ও কাঠগড় এলাকায় অবৈধভাবে কোরবানির পশু হাটের নামে গরু-ছাগল বিক্রি করায় তিনটি খাইন (অস্থায়ী পশু বেচাকেনার স্থান) মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে চসিক নির্ধারিত হাটে পশুগুলো নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এবং চসিকের জন সংযোগ কর্মকর্তা
এর আগের দিন মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বহদ্দারহাট সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ের পাশে দু্ইটি খাইনে অবৈধভাবে কোরবানির পশু বিক্রির দায়ে খাইন মালিকদের ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটরা পথচারীদের মাস্ক বিতরণ করেন এবং নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন।
সেই চসিকের অনুমোদিত পশু হাটগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রিতাকে হাটে আসার বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন সিটি মেয়র এম.রেজাউল করিম। তিনি গতকাল নগরীর বন্দরের সন্নিকেট সল্টগোলা রেল ক্রসিং-ঈশান মিস্ত্রির পশুর হাট উদ্বোধন করেন।
চকিকের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে মোট ছয়টি অবৈধ হাট দেন। ৩স্থায়ী আর ৩টি অস্থায়ী,মহানগীর ৩টি অস্থায়ী হাট হচ্ছে বন্দরের সল্টগোলা রেল ক্রসিং-ঈশান মিস্ত্রি পশুর হাট, দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্ক সংলগ্ন(টিকে গ্রুফের বালীর মাঠ) এবং কর্ণফুলীর বিজ্র থেকে দক্ষিণে নূরে নগর হাউজিং সোসাইটির মাঠে। বাকি ৩টি স্থায়ী হাট- সাগরিকা পশুর হাট, পটিয়া শান্তির হাট এবং আনোয়ারার সরকার হাট বলে জানা গেছে।
এদিকে অনেক মৌসুমী গরু বিক্রিতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার কারণে পশু হাটে বিক্রি করতে জামেলা হবে বিধায় বাসা-বাড়ীর কিংবা খালি জায়গায় পশু রেখে বিক্রিতো অপরাধ দেখছি না। এখানে কিছু দুষ্ট চক্র গরু প্রতি চাঁদা কিংবা জোরপূর্বক দাবির চাহিদা পূরণ না করাতে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অথবা থানা পুলিশ দিয়ে চরম হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। তবে কৃষকের পালা ওখামারীদের খামারে রেখে পশু বিক্রির বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ন্যায় সংঘত বলে মনে করছেন।
Discussion about this post