কর্ণফুলী প্রতিনিধিঃ১৪জুলাই
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে(ইউপি সদস্যের)কার্যালয়ে পাওনা টাকার জন্য নুরুল আলম (৪৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে আটকে রাখার পর তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর গ্রামে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আছিয়া খাতুনের কার্যালয় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত নুরুল আলম ইছানগর গ্রামের শরফত আলীর ছেলে। তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের মাঝি (দলনেতা) হিসেবে ভবনসহ পাকা স্থাপনের নির্মাণের কাজ নিতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।গ্রেফতার তিনজন হলেন- ইউপি সদস্য আছিয়া খাতুন (৫৫) , তার ভাতিজা কোরবান আলী (২৮) এবং বন্ধু মো.পারভেজ (২৩)।
কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ফেরদৌস জাহান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা তথ্য পেয়েছি, কোরবান আলী নির্মাণ শ্রমিক নুরুল আলমকে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ দিয়েছিলেন এবং কিছু টাকা অগ্রিমও দিয়েছিলেন। কিন্তু গত এক মাসেও নুরুল আলম কাজটি শুরু করতে পারেননি। এজন্য তাকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ইউপি সদস্যের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে টাকা ফেরত চাওয়া হয়।
এসময় তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছি। পরে তাকে কার্যালয়ের ভেতর একা বসিয়ে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে ইউপি সদস্য আছিয়া খাতুন,ভাতিজা কোরবান আলীএবং তার বন্ধু পারভেজ চলে যান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল,মানসিক চাপ দিয়ে টাকাগুলো আদায় করা। বিকেলে ইউপি সদস্যের পক্ষ থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়, তার অফিসের ভেতরে একজন চালার লোহার সিলিংয়ের সঙ্গে দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে যাবার পর ইউপি সদস্যকে পাইনি। সেখানে আর কেউ ছিলেন না। আমরা তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করি।
সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। তবে গলায় আত্মহত্যাজনিত শ্বাসরোধের চিহ্ন আছে। আমাদের ধারণা, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে নুরুল আলম আত্মহত্যা করেছেন।’
পুলিশ পরিদর্শক ফেরদৌস জানান, লাশ উদ্ধারের পর তারা ইউপি সদস্যকে থানায় যাওয়ার জন্য খবর দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আছিয়া খাতুন,কোরবান আলীও পারভেজকে নিয়ে থানায় যান। তাদের আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নুরুল আলমের ছেলেসহ স্বজনরা থানায় পৌঁছেছেন। মামলা দায়েরে করা হয় বলে নিহতের ছেলে ও স্বজনারা জানিয়েছেন
Discussion about this post