বিশেষ প্রতিবেদনঃ১০জুলাই
বন্দর নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার দি সন্দ্বীপ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী প্রদীপ বণিক থানায় এসে অভিযোগ করেন, তার ১২ লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে। গত ৯ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আখতারুজ্জামান সেন্টারের দোকানের কর্মচারী সুদীপ্ত সাহা প্রকাশ টিংকু বুথ থেকে টাকা তুলে বাসায় আসার পথে এই ডাকাতি হয়।
তিনি জানান, টিংকু সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সিএন্ডএফ ভবনে অবস্থিত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে আসার সময় কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪-৫ জন লোক তাকে গাড়িতে উঠতে বলে। তিনি গাড়িতে উঠতেই তার সাথে থাকা ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তার কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে মামলা দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে চোখ বেঁধে কোন এক পাহাড়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ফোন করে তিনি প্রদীপ বণিককে সব ঘটনা জানান।
অভিযোগ পেয়েই অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম)পংকজ দত্তের তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন নেতৃত্বে ডাবলমুরিং থানার টিম অভিযানে নামেন। প্রথমেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে টিংকুর বান্দরবান পাহাড়ের অবস্থান নিশ্চিত হয়। বর্ণনা অনুযায়ী বুথের সামনের মাইক্রোবাসও দেখা যায়।
ইতোমধ্যে টিংকু কে বান্দরবান থেকে থানায় আনা হয়। পুরো ঘটনা তিনি আবারও বলার পর কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তখনই সন্দেহ করা হয় কর্মচারী টিংকুকে। এরপর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১ টায় স্বীকার করেন টাকাগুলো তিনিই আত্মসাৎ করেছেন ! এরপর তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কোতোয়ালীর পাথরঘাটা এলাকায় তার বোনের বাসা থেকে ১১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রদীপ বণিক আরো জানাই, টিংকু খুবই বিশ্বস্ত কর্মচারী ,সে ২ বছর যাবত চাকরি করছে। আগের দিন রাতেই প্রদীপ বণিক তার ৪ টি এটিএম কার্ড টিংকু কে দিয়ে দেন। পরদিন ১২ লাখ টাকা তুলে ১১ টায় বাসায় ফেরার কথা তার। কিন্তু দুপুর ২ টা পর্যন্ত না আসায় এবং ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার খোঁজ শুরু করেন প্রদীপ।
এরপর ৪ টায় ফোন করে ডাকাতির সাজানো ঘটনা বলেন টিংকু। গ্রেফতার সুদীপ্ত সাহা প্রকাশ টিংকু (৩৫) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৩নং ওয়ার্ড মহাজন বাড়ীর অসীম সাহার ছেলে। তার বিরুদ্ধে প্রদীপ বণিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
Discussion about this post