বৃষ্টি আর শৈত্যপ্রবাহে কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু হয়ে পরেছে মোংলাসহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। এর মধ্যে গতকাল ভোররাত থেকে মুষলধারে ঝরেছে বৃষ্টি। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে এখানকার খেটে খাওয়া মানুষগুলো। ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির মধ্যে মানুষগুলো ছুটতে হয়েছে কাজের সন্ধানে, সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহও থেমে থাকেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবারও শনিবার একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করবে।
বৃষ্টি হওয়ায় সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কুয়াশার চাদরে ডাকতে শুরু করে। রোদতো দুরের কথা সুর্যের মুখই দেখা যায়নী কোথাও। ফলে সকালে হিম হিম শীত, তবে কখনও মুষলধারে আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অবশ্য সব জায়গায় সমান হয়নি তবে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। আবার বেশির ভাগ স্থানে সকাল ও বিকেলের দিকে ঘন কুয়াশা ছিল বেশ। শীতের এই দাপটের মধ্যে বৃষ্টিতে মানুষের কষ্ট ও বিড়ম্বনা দু’দিকেই বেড়ে গেছে।
আর বৃষ্টি কবলে পড়ে বিড়ম্বনায় পরতে হয়েছে মানুষদের। শৈত্য প্রবাহ আর বৃষ্টির কারনে বেশির ভাগ মানুষকে প্রচন্ড শীতে কাবু করে ফেলেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্টে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। মানুষ তাদের দৈনন্দন ও প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। বন্দর সংলগ্ন মোংলা উপজেলায় খেটে খাওয়া মুনুষরা বলছে, বৃষ্টি শুরু হওয়ার ফলে শীতের তীব্রতাও প্রচন্ড ভাবে বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে মোংলা সমুদ্র বন্দরে অবস্থান নেয়া সার, কয়রা, ক্লিংকার, পাথর,ভুট্ট্রাসহ ২১টি বানিজ্যিক জাহাজ বন্দরের নঙ্গরে রয়েছে। এতে পন্য বোঝাই দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ থেকে মালামাল রোড-আনরোড করতে পারছে না বন্দর ব্যাবসায়ীরা। এছাড়া টানা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় কাজেও জেতে পারছেনা বন্দর শ্রমিকরা। তবে এ বৃষ্টি চলতে থাকলে অনেক লোকসানের মুখে পরবে বন্দর ও বন্দরের ব্যাবসায়ীরা বলেও জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ
Discussion about this post