নিজস্ব প্রতিবেদকঃ৮জুন
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নব্যসৃষ্ট পাকিস্তানে নিপীড়িত ও বঞ্চিত পূর্ববাংলাকে সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধারে এক পরিপূর্ণ মুক্তির সনদ। এ সনদ আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির ঠিকানার সন্ধান দিয়ে গেছে।তিনি বলেন, আমাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে আস্থা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (৭ জুন) বিকেলে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালনোপলক্ষে থিয়েটার ইনস্টিটি্ট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐতিহাসিক ৭ জুন চট্টগ্রামে কী ঘটেছিল বর্ণনা দিয়ে বলেন, ঐ দিন সকালে খাতুনগঞ্জে একটি মিছিল থেকে এমএ আজিজকে ফকা চৌধুরীর গুণ্ডারা হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যায়। ঐ দিন বিকেলেই জহুর আহমদ চৌধুরী লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত শ্রমিক-জনসভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন, এমএ আজিজের কিছু হলে চট্টগ্রামে আগুন জ্বলবে। সেদিন মানিক চৌধুরীর মা যশোদা বালা ফকা চৌধুরীর গুণ্ডাদের গলার হার ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন দোহাই তোমাদের, আজিজকে মেরো না। সেদিন সোনার হার পেয়ে গুণ্ডারা আজিজকে হত্যা করেনি। এ ইতিহাস অনেকেই জানেন না। ৭ জুন অগ্নিগর্ভ চট্টগ্রাম দেখিয়ে দিয়েছিল ৬ দফার বীজ থেকে স্বাধীনতার বটবৃক্ষ পল্লবিত হবে।
আলোচনা সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফাই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। এ ৬ দফাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাঙালি জাতিসত্তার রূপকল্প চিত্রিত করেন।তিনি বলেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি তাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। ৬ দফা বঙ্গবন্ধু কেন ঘোষণা করেছিলেন তার প্রেক্ষাপট কী এবং কেন তাও জানতে হবে।
তা না হলে আদর্শিক বিশ্বাসের জায়গাটা দুর্বল হয়ে যাবে। আমরা যে দিবসগুলো পালন করি সেগুলোর তাৎপর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করতে হবে, আমাদের অনেক বড় নেতার মধ্যে এ বিষয়ে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৩ বছরে দেশকে যে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়ে আলোকিত করেছেন, সে তুলনায় আমরা জনগণের আস্থা অর্জনের উচ্চতায় পৌঁছাতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা এবং এ থেকে শিক্ষা নিয়ে সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থেকে সবার মন জয় করতে হবে।
তা হলেই দলের গণভিত্তি শক্তিশালী হবে।প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফউদ্দিন খালেদ বাহার, নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের শাহাবুদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, নুরুল অমিন কালু, মো. জানে আলম, মো. নুরুল আলম।উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শেখ মো. ইছহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মো. হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মো. আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য মো. আবুল মনসুর, বখতেয়ার উদ্দিন খান, বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের ছিদ্দিক আলম, জাহাঙ্গীর চৌধুরী ,
আনছারুল হক, মো. সালাহ উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হোসেন বাবুল, শামসুল আলম, রফিকুল হোসেন বাচ্চু, নূর মোহাম্মদ নুরু, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান, সলিমউল্লাহ বাচ্চু, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, আবছার উদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল হক রঞ্জু, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. ইসকান্দর মিয়া, মিথুন বড়ুয়া, কায়সার মালিক, ফয়েজুল্লাহ বাহাদুর, শওকত আলী, মো. মোরশেদ আলী, আশরাফুল আলম, লুৎফুল হক খুশী, খালেদ হায়াত মাশুক, ইফতেখারুল আলম জাহেদ।
সভার শুরুতে ৬ দফা আন্দোলনের সূচনায় মনুমিয়াসহ সব শহীদ স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
Discussion about this post