নিজস্ব প্রতিবেদকঃ২৫মে,চট্টগ্রাম
মানব সেবা পৃথিবীর মধ্যে সেরা একটি কাজ। সেবা কে যিনি ব্রতী হিসেবে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি হচ্ছেন নগরীর ৩৮নং ওয়ার্ডের মালুম বাড়ীর জনৈক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব,প্রয়াত রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম সংগঠক মরহুম আলী আকবর চেয়ারম্যানের সুযোগ্য সন্তান হাজী ইকবাল আলী আকবর। চলমান মহামারী করোনাতে যিনি নিজ উদ্যোগে এলাকার আপাময়-অসহায়,নিরীহ জনসাধারণের সেবার দূত হিসেবে বিপদে-আপদে তাৎক্ষনিক ছুটে যান এই মানিবক ব্যক্তি।
যার ইচ্ছা শক্তি শুধ গণ মানুষের পাশে থেকে অসহায়-নিপিড় মানুষের কাজ করে যাওয়া। আর্দশবান পিতার পদাঙ্গ অনুসরণ করে হাজী ইকবাল অত্র অঞ্চলে সেবার প্রতিক হিসেবে আমরণ সেবা করবেন বলে সর্বাক্ষে ছুটে যান এক প্রান্তে থেকে অন্য প্রান্তে।
মরহুম পিতা আলী আকবর তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আমলে অত্র ৩৬,৩৭,৩৮ নং ওয়ার্ড ততা ৫নং ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতম ব্যক্তি হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অগ্রগন্য ছিলেন।
যাকে আলী চেয়ারম্যান নামে সবাই ডাকতেন, তারঁই সন্তান হাজী ইকবাল বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় জননেত্রী,বঙ্গবন্ধু কণ্যা, দেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ক্রমে ২০১৪সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টঃ১১আসনের এমপি পদে প্রার্থী হয়েও শেষ পর্যন্ত সরে দাড়াঁন।
পর্যায়ক্রমে তিনি রাজনীতির সাথে আরো ব্যাপক জড়িত হয়ে দেশ-সমাজ তথা বন্দর-ইপিজেড ওপতেঙ্গার গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে মাঠে-ময়দানে কাজে করে যাচ্ছেন নিরালস ভাবে।
তেমনি একটি ঘটনা উল্লেখ্য না করলেও নহে, সম্প্রতি সময়ে একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ওপ্রকাশক-পরিচালক হাজী হারুন উর রশিদ গুরুতর অসুস্থ্য হলে হাজী ইকবালই সর্বব প্রথম বাসায় ছুটে গিয়ে তাকে ডাঃ রাজু কে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার প্রতি সচেতন করা এবং প্রাকৃতিক নিয়মে নিরাময় যোগ্য কাজ /সেবা করে দিয়ে নিশ্চিত খারাপ অবস্থা সারিয়ে তুলেন।
এই প্রসঙ্গে সম্পাদক হারুণ উর রশিদ বলেন, দূর্যোগও বিপদের সময় অনেক নেতা/নেত্রীদের কে ফোন দিলেও তারা কেউ ফোন রিসিভও করেন নি কিন্তু এই হাজী ইকবাল শেষ মূহত্ব পর্যন্ত আমাকে সুস্থ্য করার সব প্রক্রিয়া বিনামূল্যে ও কষ্ট না ভেবে করেছেন্ । যা একজন নাস বা সেবিকার ভূমিকায় সেবার কাজ করেছেন বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশ-সমাজে পরিবারের অনেক মানুষ অনেক ভাবে উন্নয়ন কাজ করলে আমার দৃষ্ঠিতে হাজী ইকবাল সমাজের জন্য নিবেদতি হিসেবে যা করে যাচ্ছেন তার বলে বা লেখে শেষ হবার নয়।
এছাড়া হাজী ইকবাল মহামারি করোনাতে অক্সিজেন অভাবজনিত মানুষ কে তাৎক্ষনিক গ্যাসের ব্যবস্থা করে দিয়ে সত্যিই গণ মানুষের কাতারে আবদ্ধ রয়েছে। সাথে তার টিম ৩৮(মালুম বাড়ী) যার জন্য অনেক দুঃখি ,সহায়-সম্ভলহীন মানুষ তাকে প্রাণ ভরে দোয়া ও করেছেন বলে প্রতিবেশীরা জানান।
সমাজ উন্নয়নে তিনি নিজ আর্থিক খরচে গড়ে তুলেছেন এই অঞ্চলের মানুষের দাবি আদায়ের সংগঠন বন্দর-ইপিজেড,পতেঙ্গা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ।তাছাড়া হাজী ইকবাল বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি , সৌদি আরবের মক্কা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বন্দর-পতেঙ্গা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের বর্তমান সভাপতি সহ ৩৭,৩৮,৩৯নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন জানান্।
তার সেবা মূলক কাজে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, ২৫মে মঙ্গলবার এই প্রতিবেদক কে বলেন, মহান আল্লাহর খেদমতে আশ্রাফুল মাগলুকাত হিসেবে মানুষের সেবা করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারলেই হল। আমার জীবনে যাওয়া-পাওয়া শুধু গণ মানুষের মুখে হাসি দেখা আর অসহায়-দুঃস্থ্যরা প্রভাবশালীর দ্বারা যেন হেনস্তা বা লাঞ্জিত না হন তার প্রতিবাদ করে যাওয়া।
রাসূল (সাঃ)এর দেখানু পথ অনুসারে মানুষের সেবা করা ছাড়া অন্য কোন কাজ আছে বলে আমি মনে করি না।তাই, সেবার মধ্যে দিয়ে রাজনীতির ব্রতি হয়ে অত্র অঞ্চলে সর্ব সাধারণের পাশে দাড়াঁতে আমি কখনোই পিছপা হব না।
আমার রাজনীতি জীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ এবং চট্টল বীর , প্রয়াত সাবেক সিটি মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী কে শ্রদ্ধায় সব সময় স্মরণ করেন বলে গুনী এই ব্যক্তি জানিয়েছেন। শুধু তাই না হাজী ইকবাল প্রতি বছরই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ,সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের) গরু কোর বানী দেন বলে অবগত করেন।
পরিশেষে তিনি সকল মানবজাতির সু-স্বাস্থ্য ওদীর্ঘায়ূ কামনা করেছেন যেন আমরা সবাই সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগও বিপদ থেকে রক্ষা পাই।
Discussion about this post