নিজস্ব প্রতিনিধিঃ২৫মে
কোতোয়ালী মোড় এলাকায় ফিরিঙ্গী বাজার চুরিয়ালটুলী লেইন ব্যান্ডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর কতিপয় লোক ও কিশোর মারামারি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছে এবং যে কোন রকম প্রাণনাশের সম্ভাবনা বিদ্যমান। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে হলে ২৪মে বিকেলে সাড়ে৪টার সময় ঘটনাস্থলে ১নং আসামী এবং ২ ও ৩নং আইনের সাথে জড়িত কিশোরদ্বয়কে আটক করেন।
অপর ০১ জন কিশোর দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাদেরকে পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাদের হেফাজতে ছোরা থাকার ও তাদের সহযোগী পলাতক কিশোর এলাকায় দাঙ্গাহাঙ্গামা করার জন্য ঘটনাস্থলে তাদেরকে নিয়ে অবস্থান করার কথা স্বীকার করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীদ্বয় ও কিশোর এর দেহ তল্লাশী কালে ধৃত ০১ নং আসামী নাহিদ আহমেদ চৌধুরী (২০) এর পরিহিত প্যান্টের সামনে ডান পকেট হতে ০১টি স্টীলের টিপ ছোরা, ধৃত আইনের সাথে জড়িত ২নং শিশু আব্রাহীম ইসলাম প্রকাশ রাহিম (১৭) এর পরিহিত প্যান্টের সামনে বাম পকেট হতে ০১টি স্টীলের টিপ ছোরা এবং ধৃত আইনের সাথে জড়িত ২নং শিশু মোঃ বোরহান মেহরাজ (১৬) এর পরিহিত প্যান্টের কোমরে গোজানো অবস্থায় ০১টি স্টীলের টিপ ছোরা পেয়ে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন।
ধৃত আসামী ও আইনের সাথে জড়িত শিশুদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা সহ পলাতক কিশোর সকলে একই সাথে বিভিন্ন সময়ে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গাহাঙ্গামা সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করে থাকে। অদ্য তাদের সাথে থাকা পলাতক কিশোর মোঃ আবির নেওয়াজ রমি (১৭) এর সাথে অজ্ঞাতনামা এক ব্যাক্তির বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় তাকে আপোষ করার কথা বলে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারপিট করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে আসে। পলাতক কিশোর মোঃ আবির নেওয়াজ রমি (১৭) তাদেরকে ছোরাসমূহ দিয়ে সে নিজেই নেতৃত্ব দেয় এবং সকলে জ্ঞাতসারে নিজেদের হেফাজতে অবৈধ ধারালো ছোরা নিয়ে বর্ণিত স্থানে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করে। এসআই/সুকান্ত চৌধুরী বাদী হয়ে আসামী ও আইনের সংঘাতে জড়িত শিশুদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে অস্ত্র আইনে ০১টি পৃথক মামলা রুজু হয়।
অপরাধ প্রক্রিয়াঃ
আসামীরা কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তারা সকলেই সদরঘাট এলাকায় বসবাস করে। তাদের গ্যাংয়ের কোন সদস্য যদি কারো সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তাহলে তারা ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া ব্যক্তিকে মারধর করার জন্য রেডি হয়ে যায়। একপর্যায়ে উক্ত ব্যক্তিকে আপোষ করবে বলে আরেক এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। কথা বলার মাঝখানে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করে, মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থাকা একজন ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা এলাকা থেকে কিছুদিন সরে থাকে।
উদ্ধারকৃত আলামতের বর্ণনা- ০৩টি ছোরা।আসামীদের নাম ঠিকানা-১। নাহিদ আহমেদ চৌধুরী (২০),আইনের সাথে সংঘর্ষে জড়িত কিশোর- ২। আব্রাহীম ইসলাম প্রকাশ রাহিম (১৭), ৩। মো: রোহান মেহরাজ(১৬) বলে জানাই থানা ।আটককৃতদের হত্যা চেষ্টার মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিছেন বলে জানা গেছে।
Discussion about this post