তৈয়বুর রহমান, কালীগঞ্জ(গাজীপুর) প্রতিনিধি : যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিল্পপতি মরহুম নুরুল ইসলাম স্মরণে গাজীপুরের কালীগঞ্জে শোকসভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। শুক্রবার বাদ জু’মা উপজেলার আওড়াখালী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই শোকসভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৩ জুলাই বিশিষ্ট শিল্পপতি মুক্তিযোদ্ধা ও বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চির বিদায় নেন। উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওড়াখালী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খানের সভাপতিত্বে শোকসভায় শিল্পপতি ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শোকসভা পরিচালনা করেন দৈনিক যুগান্তরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল গাফফার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কালের কন্ঠের গাজীপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক শরীফ আহ্মেদ শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক ইব্রাহিম খন্দকার, জাগরণী টিভি’র জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক, মানবজমিনের ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহমান, আনন্দ টিভি’র খোরশেদ আলম খান, দৈনিক ডেল্টা টাইমস্ ও দৈনিক বিশ^ মানচিত্র সাংবাদিক তৈয়বুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম দর্জি, মোয়াজ্জেম হোসেন পাখি, মাওলানা আমানউল্লাহ শেখ প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে তার যে অবদান, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম উঁচুমানের মানুষ ছিলেন। দেশ, সমাজ ও অর্থনীতি উন্নয়নে অনেক বড় অবদান রেখেছেন।
সেটি নিঃসন্দেহে তাকে অমর করে রাখবে। আরও এগিয়ে নিতে তিনি যে পথ তৈরি করে গেছেন সে পথ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে আরও সফলতা আসবে। একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা হয়েও তাকে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সবকিছুকেই হাসিমুখে বরণ করে তিনি সাফল্যের সঙ্গে জীবনের পথ তৈরি করে এগিয়ে গেছেন। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নুরুল ইসলামের ভূমিকা অনেক। তার এই অবদানের জন্য জাতি ওনাকে স্মরণ রাখবে।
বিশেষ করে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশে এত বড় একটি শিল্প গ্রুপ সৃষ্টি এবং পরিচালনায় তিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ। তিনি ছিলেন একজন সাহসী ও কঠোর পরিশ্রমী উদ্যোক্তা।
নতুন নতুন শিল্পে বিনিয়োগ করে বড় চ্যালেঞ্জ নিতেন। মেধা, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েও সফল হয়েছেন। তিনি যমুনা গ্রুপের ৪১ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
আলোচনা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার মহৎ কর্ম তুলে ধরে দোয়া পরিচালনা করেন আওড়াখালী বাজার কেন্দ্র্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মুফতি মোখলেসুর রহমান আশরাফি। দোয়া শেষে তবারক বিতরণ করা হয়।
Discussion about this post