মোহাম্মদ মহসিন খান (টাংগাইল) নাগরপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পৃর্ব পাড়া ২৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জন্য যাতায়াতের প্রধান রাস্তা আজ চরম বেহাল দশা যার কারনে এখানকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এত ব্যস্ত রাস্তাটি স্হায়ীভাবে সংস্কার না হওয়ায় সকল প্রকার যানবাহন ও মানুষের চলাফেরায় অনুপযোগী হয়ে পরেছে।একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়।
রিক্সা,ভ্যান,ট্রাক,ঘোড়ার গাড়ি,সিএনজি ইজিবাইক সাইকেল চলাচল বন্ধ সহ পায়ে হাঁটাও চলাচল অচল হয়ে পড়ে ফলে ইমাজেন্সিতে কোন রোগী নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স সহ জরুরী চিকিৎসার জন্য কোথাও নেওয়া যায় না বিপাকে পড়তে হয় রোগীর পরিবারকে।
এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ধুবড়িয়া আলিফ উদ্দীন ডিগ্রী মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন যাওয়া আসা করে। যখন একটু বৃষ্টি হয় তখন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্র শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়ে ফলে আসেপাশের মুদির দোকান্দার সহ স্বল্প আয়ের ব্যাবসায়ীগন খরিদদার না পেয়ে অলস সময় পাড়ি দিতে হয় এবং বেচাকেনা কম হওয়ায় অার্থিকভাবে ক্ষতি হতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ধুবড়িয়া ইউনিয়নের ধুবড়িয়া চৌরাস্তা দিয়ে পূর্ব দিকে লক্ষিদিয়া দিয়ে বনগ্রাম চৌরাস্তা পাইশানা,জালালিয়া দিয়ে মিশে গেছে এই দুর্ভোগ রাস্তাটি।বর্তমানে সকল প্রকার যানবাহন সহ পায়ে হেঁটে চলাচলে রাস্তাটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা আরো ভংঙ্কর হয়ে পরে। রাস্তা সম্পূর্ণ কাঁচা অবস্থা এতোই ভয়াবহ যা লেখার ভাষার মাধ্যমে বুঝানো সম্ভব না।
এখানকার মানুষের প্রানের দাবি অথাৎ প্রধান দাবি এই রাস্তাটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশেষ বাজেট এর মাধ্যমে ইটের সলিং দিয়ে স্হায়ীভাবে মেরামত করা বিশেষ প্রয়োজন। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় এর আগে দুই গাড়ি রাবিশ ইট দিয়েও কিছুটা মেরামত করা হয়েছিল তারপর ইউপি চেয়ারম্যান মো.মতিয়ার রহমান নিজে ২০ হাজার টাকার টি আর স্হানীয় মেম্বার নোমাজ কে দায়িত্ব দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল।
বর্তমানে এই সমস্ত মেরামতের বা কোন উন্নয়নের চিহ্ন নেই বরং এতোই ভয়ংকর হয়েছে মনে হচ্ছে একটা মৃত্যুকূপ। নাগরপুর আসনের সাংসদ জননেতা জ্বনাব আহসানুল ইসলাম টিটুর কাছে এই রাস্তাটি মেরামতের জন্য আবেদন করা হয়েছে এমনটা গনমাধ্যম কর্মীদের জানালেন ধুবড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.মতিয়ার রহমান।
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগনরা জানান ধুবড়িয়া পৃর্ব পাড়া,কালিবাড়ি, শেহরাইল,কুষ্টিয়া, বলোলামপুর ও লক্ষিদিয়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ওই রাস্তাটি।
বেহালের দশার কারণে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।তারা আরো বলেন এই রাস্তাটি ভাল হলে এখানকার মানুষের জনজিবন স্বাভাবিক হবে। তারা নাগরপুর দেলদুয়ারের এমপি সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানকার মানুষ প্রয়োজনে কোথাও গেলে তাদের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে তার পরে কোনো যানবাহনে চড়তে হয়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা বেহালের কারণে নিজ গ্রামে অটোরিকশাসহ কোনো প্রকার যানবাহন আসতে চায় না। একজন কৃষক বলেন, অসুস্থ রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। রাস্তা খারাপের কারণে কোনো গাড়ী পাওয়া যায় না।
এছাড়াও রাস্তা খারাপের কারণে চাষাবাদের সময় সার, আলু বীজসহ যেকোনো কৃষি উপকরণ আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের অধিক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এক স্কুল শিক্ষক বলেন, রাস্তাটি টাংগাইলের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলার জন্য খুবই গুরুতপূর্ণ।
এলাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র প্রধান রাস্তাটি পাকা করনের জন্য এমপি ও চেয়ারম্যান সহ দায়িদ্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। ধুবড়িয়া ইউপি ৪ নং ওয়ার্ড় মেম্বার জ্বনাব নোমাজ আলী বলেন- এই রাস্তাটি ধুবড়িয়া চৌরাস্তা থেকে লক্ষীদীয়া পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপৃর্ন রাস্তা কারন এই এলাকাটি ঘনবসতি ফলে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন।
একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা বেহাল দশা হয়ে পড়ে।সিএনজি,ঘোড়ার গাড়ি ও মালবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ পায়ে হাঁটা কষ্ট হয়ে যায়। আমি আগেও মেম্বার ছিলাম এখনো মেম্বার আছি। আমি এই রাস্তা মোরামতের জন্য অামাদের এমপি জ্বনাব আহসানুল ইসলাম টিটু সাহেবের সাথে সাক্ষাত করেছি মাননীয় এমপি মহোদয় আমাদের বলেছে ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হবে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি কারন আমার মনে হয় করোনা ভাইরাসের কারনে কাজটি শুরু হচ্ছে না।
আমরা এমপি মহোদয়কে বিশ্বাস করি কারন তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।আমি এমপি জ্বনাব আহসানুল ইসলাম টিটু সাহেবের কাছে জোর দাবি করছি অতিদ্রুত যেন এই রান্তাটি মেরামত করা হয়।
ধুবড়িয়া ৯ নং ওর্য়াড় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন– মেম্বার সাহেব অনেক গুরুত্বপৃর্ন কথা বলেছেন ।আমাদের অনেক জনপ্রতিনিধিরা অনেক আশ্বাস দিয়েছেন কেউ এই রাস্তাটি ভালভাবে মেরামত করে দিতে পারিনি ।
এই রাস্তাটি ধুবড়িয়া, কালিবাড়ি,শেহরাইল, বলোলামপুর, কুষ্টিয়া ও লক্ষিদিয়ার প্রধান সড়কটি খুবই লাজুক অবস্হা কারন একটু বৃষ্টি হলেই সকল প্রকার চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ফলে আমাদের অনেক কষ্ট হয় চলাচল করতে ।
অনেক দু:খের সাথে বলতে হয় এই রাস্তাটি কোন সময়ের জন্য ভাল ছিল না কারন আমরা ছোট বেলা থেকেই এই রাস্তাটি এই রকম বেহাল দশা অবস্হায় দেখতেছি। আমাদের একটাই দাবি মাননীয় এমপি জ্বনাব আহসানু্ল ইসলাম টিটু যেন অতিদ্রুত এই রাস্তাটি মেরামত ও পাঁকা করে দেন।
Discussion about this post