করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ করছে চীন, এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফল হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা বাংলাদেশে আগে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশ সফররত চীনা প্রতিনিধিদের বিদায়কালে সোমবার (২২ জুন) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজে অগ্রগতিও অনেক। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে সবার আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে পাঠাবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চীনে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সময়ে বাংলাদেশ যেভাবে পাশে ছিল চীন সরকার সেই উদারতার কথা মনে রেখে বাংলাদেশের জন্য সবার আগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।’
প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড প্রতিরোধে বাংলাদেশের কাজে চীনা দল সন্তুষ্ট হয়েছে, তবে কভিড মোকাবিলায় আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলেও প্রতিনিধি দল সরকারকে জানিয়েছেন। আমরাও সামনের দিনগুলোতে চিহ্নিত জায়গাগুলো নিয়ে আরও কাজ করবো। ‘
করোনার কিট প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী কিট পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বর্তমানে বিশ্বের সব দেশেই কিটের চাহিদা রয়েছে। তবে যা মজুদ আছে তাতে ঘাটতি হওয়ার কথা না। কোনো কারণে সংকট তৈরি হলেও তা খুব দ্রুতই মেটানোর ব্যবস্থা সরকারের হাতে নেয়া রয়েছে। কাজেই কিট নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসক সংকট নিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনায় আক্রান্তের হার এভাবে বাড়তে থাকলে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। পাশাপাশি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও বর্তমানে চলমান। করোনা পরিস্থিতি আগামীতে যেরকম হবে সরকার সেভাবেই বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেবে।’
ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তা সবার আগে বাংলাদেশ পাবে বলে নিশ্চিত করে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন চীন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো। আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্যখাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post