করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার (১৫ জুন) থেকে শুরু হবে এলাকাভিত্তিক লকডাউন।
রবিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকার মূলত জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার কৌশল গ্রহণ করেছে। সেই কৌশলে রেড জোন চিহ্নিত এলাকা লকডাউনের আওতায় ও সাধারণ ছুটি থাকবে সেখানে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আগের শর্তেই সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি অফিস চলবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জোনিং করে লকডাউন, এটা খুবই একটা কার্যকর ব্যবস্থা বলে আমরা মনে করছি। একইসঙ্গে চার-পাঁচটি স্থান রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হতে পারে।
পরীক্ষামূলক লকডাউন চলছে রাজাবাজারে। সেখানকার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোকে সংশোধন করা হবে। একটি স্থানকে শুধু লকডাউন করলেই চলবে না। সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য আমাদের কিছু দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে, এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।
ফরহাদ হোসেন জানান, দেশের বিদ্যমান সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী রাজধানীর বাইরে জেলাগুলোয় কোনও এলাকা লকডাউন করতে হলে সেই জেলার সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নিয়েই লকডাউন করতে হবে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লকডাউন কার্যকর করবেন।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকার বাইরে যে এলাকায় প্রতি লাখে ১০ জন বা এর বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী থাকবে সেখানেই রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হবে। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে রোগীর অবস্থান করা জায়গা বা এলাকা চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
কোন এলাকায় লকডাউন করা হবে তা আগে থেকে বলা হলে তো লোকজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাবে। রেড জোনে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। যাদের খাবার প্রয়োজন তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, ১৫ তারিখের (জুন) পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো নির্দেশনাসহ অফিস এবং গণপরিবহন খোলা থাকবে, সেজন্য একটি অর্ডার জারি করা হবে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে আর ছুটি বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে।
নতুন করে কোনও ছুটি ঘোষণা করা হবে না। তবে যে এলাকা রেড জোনের আওতায় থাকবে, সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত আরও কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছি।
উল্লেখ্য, এর আগে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খোলার অনুমতি দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
Discussion about this post