চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ৫০ টাকা মূল্যের স্ক্যাবো ট্যাবলেট ৫০০ টাকায় বিক্রিসহ বিভিন্ন ওষুধ ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রির দায়ে তিন বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় তিনটি ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে এই অসাধু ওষুধ বিক্রেতাদের আটক করে র্যাবের একট দল। অভিযানের পর দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে র্যাব।
আটককৃতরা হলেন বন্দর থানা এলাকার আর সি ড্রাগ হাউজের মালিক মো. শাহজাহান (৬০), মেসার্স গাউছিয়া ফার্মেসির মালিক মো. আক্তার হোসেন (৪৯) ও মেসার্স মাসুদা মেডিসিন শপের মালিক মো. রবিউল আলম (৩৩) ।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত তরে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অসহায় অবস্থাকে পূঁজি করে কতিপয় ওষুধ ব্যবসায়ী ও ফার্মেসী মালিক ৫০ টাকার ওষুধ ৫০০
টাকায় বিক্রি করছে। ভুক্তভোগিদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে অভিযানে দেখা যায়, আর সি ড্রাগ হাউজ নামক ওষুধের দোকানে আইভেরা ৬ মিলিগ্রাম নামের ৭৫০ টাকা দামের একটি বিক্রি করছিল ২ হাজার ৪০০ টাকায়।
মেসার্স গাউছিয়া ফার্মেসিতে স্ক্যাবো ৬ মিলিগ্রাম নামে প্রতিপাতা ৫০ টাকা মুল্যের একটি ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০০ টাকায়, একই ফার্মেসীতে ২৫ টাকা মুল্যের জিঙ্ক ২০০ মিলিগ্রাম নামের একটি ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০ টাকা করে।
মেসার্স মাসুদা মেডিসিন শপে রিকোনিল ২০০ মিলিগ্রাম নামে একটি ওষুধ প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছিল ৬০০ টাকা, যার বাজার মূল্য ৩৬০ টাকা; মোনাস ১০ মিলিগ্রাম নামের ওষুধের প্রতি প্যাকেট (২ পাতা) বিক্রি করছিল ১ হাজার ৫০ টাকা, যার বাজার মূল্য ৪৮০ টাকা।
এভাবে ফার্মেসীগুলো করোনার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধু ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি মুল্যে বিক্রির হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে ফার্মেসী মালিকদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে বলে র্যাব জানিয়েছে। অভিযানের পর দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে র্যাব।
Discussion about this post