(কুড়িগ্রাম )প্রতিনিধিঃ ভূরুঙ্গামারীতে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর রহস্যজনকভাবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের স্ত্রী ও শশুর বাড়ির লোকজন করোনা উপসর্গের কথা বলে উক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করালেও পরিবারের অভিযোগ পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের শালজোড় (উত্তর ধলডাঙ্গা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম মনিরুজ্জামান মন্টু (৫০)। মৃতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ পরকীয়া প্রেমের কারণে স্ত্রী তার স্বামীকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে। তবে মৃত মন্টু মিয়ার স্ত্রী শাহিদা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার স্বামী মনিরুজ্জামান মন্টু গত কয়েক দিন থেকে পাতলা পায়খানা ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিল।
শনিবার গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সকাল ৯.৪০ টায় ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃতের ভাতিজা হাফিজুর জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আমার চাচী শাহিদা খাতুনের সাথে প্রতিবেশী জনৈক আজিজুল হকের পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল। ইতোপূর্বে বেশ কয়েক বার এটি নিয়ে গ্রাম্য সালিশও হয়েছে ।
পরকিয়ার প্রতিবাদ করলে আমার চাচি মাঝে মাঝে আমাদের ও প্রতিবেশীদের জড়িয়ে মামলার করার হুমকী দিত। তাই শনিবার রাতে ওই বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েও আমরা ভয়ে এগিয়ে যাইনি।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকতার্ ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন , সকালে করোনার উপসর্গের কথা বলে তার স্ত্রী শাহিদা তার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা প্রথমেই তাকে অক্সিজেন দেই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরে আমরা নমুনা নিতে গিয়ে তার গলায় দাগ দেখতে পাই। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদে জেনেছি শনিবার দিবাগত রাতে মনিরুজ্জামান মন্টু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post