চট্টগ্রামের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে । সব ব্যবস্থা সঠিক ভাবে নেওয়া হলেও এখন সীট নেই কোন হাসপাতালে,আইসিইউ সাপোর্ট তো দূরের কথা ।
টেস্ট করার হার সেটাও অপ্রতুল ।চট্তগ্রামে সব বাঘা বাঘা নেতাদের খুব কিয়দাংশ মাঠে আছেন ।কারো টাকা নাই / কারো সময় নাই / কারো হইতো নিরাপত্তা নাই ।তাই উনারা বের হচ্ছেন না ।
সমালোচনা করেন বা তীর্যক মন্তব্য করেন সে ঘুরে ফিরে একজনকেই দেখা যাচ্ছে মাঠে । তিনি হচ্ছেন আজম নাছির উদ্দীন ।করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে উনি ব্যক্তিগত ভাবে যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেটা কারো চোখ এরিয়ে যাবার কথা নয়।
বিপদে পরলে মানুষ চেনা যায় সেটা করোনার আঘাত না আসলে হইতো বুঝা যেত না । কোন নেতা কিসের সাহসে চট্তগ্রামের এ সব সল্পতার কথা বলবেন ??
বাকি সব নেতা কিছু না করলেও নালিশ দিতে বেশ পারদর্শী সেটা তো তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিভিন্নভাবে ।সব জেনেও আজম নাছির চেষ্টা করে যাচ্ছেন মেয়র হিসেবে … একজন ব্যক্তি আজম নাছির হিসেবে।মেয়র নোমিনেশন না পেয়ে অনেক মেয়র বাসা থেকেই বের হন নি ।সেখানে আজম নাছির উল্টো পথে হেঁটেছেন ।
চট্টগ্রামে একজন আছেন যার কাঁধেই সব দোষ চাপাতে পারলে সবাই বাঁচেন ।গত ৫ বছরে কোথায় বাঁধা পান নি তিনি ??? ৫% ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশের মধ্য গিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন ।
যে বিলবোর্ডের জন্য চট্তগ্রামের আকাশ দেখা যেত না সেগুলি উচ্ছেদ করেছেন । ভালো কাজ করতে গিয়ে নিজের দলের শত্রু বাড়িয়েছেন ।সিটি কর্পোরেশন কে পাশ কাটিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজগুলি করা হতো সিডিএ এর মাধ্যমে । প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো না সিটি কর্পোরেশনকে ।কিন্তু ঠিকই সমালোচনা হতো মেয়রের ।
প্রবর্তক মোড়ের ব্রীজটাই ধরুন ,এটার জন্য নাছির ভাইয়ের সমালোচনা করেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুঁজে পেতে কষ্ট হবে ।কিন্তু ব্রীজ টা কে করছে সেটার খোঁজ কেউ করে নি ।
দেখে নি রাস্তার পাশের বড় বড় নালা গুলি যে উঁচু হয়ে গেছে চোখের আড়ালেই।সে কাজের বাহবা না পেলেও অন্যের কাজের দীর্ঘ সূত্রিতা ঠিকই আজম নাছিরের উপর দিতে কেউ ভূল করেন নি ।
আমরা মানুষকে যথাসময়ে মূল্যায়ন করি না । পরে হা-হুতাশ করি । খারাপ কাজের সমালোচনার সাথে ভালো কাজের বাহবা মানুষকে অনুপ্রেরনা জোগায় ।সেটা দিতেও আমরা কার্পণ্য করি ।
ধন্যবাদ আজম নাছির উদ্দীন ♥️
Discussion about this post