সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, করোনায় কর্মহীন মানুষ কেউ না খেয়ে থাকবে না।
আমরা সবার পাশে থাকবো। এখানে কে আমাকে ভোট দিল, কে দিল না সেটা দেখা হবে না।
দলমত নির্বিশেষে সবাইকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) সকালে টেলিফোনে ভোলা-১ (সদর) ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায়
করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া কয়েক হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সদস্যদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে ত্রাণ কমিটি গঠন করতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা যে নিদের্শনা দিয়েছেন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং
জনপ্রতিনিধিকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
ত্রাণ বিতরণের জন্য কোনভাবেই লোকজনকে এক জায়গায় জড়ো করা যাবে না।
প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে হবে।
কোন মানুষ যেন খাদ্যের অভাবে কষ্ট না পায় সেদিকটা জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এখন রাজনীতির সময় নয়, এখন মানবিকতা দেখানোর সময়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে থাববে না।
যারাই কর্মহীন হয়ে পড়েছে, খাদ্য দরকার এমন ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌছে দেওয়া হবে।
যতদিন করোনার এই দুযোর্গ থাকবে ততদিন মানুষের পাশে থাকবো।
জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন,
করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের
ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত ত্রাণ কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই কমিটি মানুষের মানবিক সংকটে সার্বিক সহযোগিতা এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনের
সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই কমিটি গঠন করুন।
কর্মহীন ও অসহায় মানুষ কেউ যেন এই তালিকা থেকে বাদ পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে।
কোন রকম অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুসিয়ার করেন সাবেক এই মন্ত্রী।
আগামী রমজান মাসে মানুষ যেন ইফতার-সেহরি করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে
তোফায়েল আহমেদ বলেন, শুধু এখনই নয়, আসন্ন রমজান মাসে মানুষ যাতে ইফতার ও সেহরি করতে পারে সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী অসহায় মানুষের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। এই দুযোর্গে মানুষের পাশে দাড়ানোই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব
Discussion about this post