করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশের দরিদ্র-কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সরকার আরও ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং ৯ হাজার ৬৫০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য এবং এক কোটি ৬০ লাখ টাকা শিশুখাদ্য কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হওয়ার পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অনুকূলে বরাদ্দ সংক্রান্ত আদেশ পাঠিয়েছে।
বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ত্রাণসামগ্রী হিসেবে শাকসবজি কিনে বিতরণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীকে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ করা যেতে পারে। আর শিশুখাদ্য কেনার শর্তে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্নিষ্ট সব বিধিবিধান ও আর্থিক নিয়ম যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
মিল্ক্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ ত্রাণসামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই দুধ দেওয়া যাবে না।
এ ছাড়া শিশুখাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্টু্কট, ফর্টিফায়েড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মশুর ডাল, সাগু ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে। জেলা প্রশাসকদের যথাযথ শর্ত অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশুখাদ্য কিনে তা বিতরণ করে নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
Discussion about this post