রাজশাহী বিভাগে করোনাভাইরাসের হটস্পট হয়ে উঠেছে জয়পুরহাট জেলা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভাগের আট জেলা মিলে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাে একদিনে ৫২ থেকে বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ জনে। এর মধ্যে কেবল জয়পুরহাটেই রয়েছেন ২৮ জন।
তবে আট জেলার মধ্যে নাটোরে গতকাল মঙ্গলবার হটাৎ একদিনে ৮ জনের করোনা সংক্রমিত রোগী পাওয়া যায়। বিভাগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী রয়েছে বগুড়ায় ১৮ জন এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমিত রোগী রয়েছে নওগাঁয় ১৭ জন ও চতুর্থ স্থানে রাজশাহীতে রয়েছে ১৩।
রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় গত ১২ এপ্রিল। রাজশাহীর পুঠিয়াতে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর বিভাগের অন্যান্য জেলাতেও একে একে বাড়তে থাকে এ রোগে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্র মতে, রাজশাহী বিভাগের প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। তবে বিভাগের আট জেলার মধ্যে এখন জয়পুরহাট হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এ জেলায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২৮ জন এবং বগুড়ায় রয়েছে ১৮ জন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য চিত্রে দেখা যায়, বিভাগের আট জেলার মধ্যে শুধু রাজশাহীতে একজন রোগী মারা গেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া বিভাগের আর কোথাও এই রোগে মারা যাওয়ার তথ্য দেওয়া নাই।
অন্যদিকে বিভাগের আট জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে রয়েছে রাজশাহীতে ১৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রান্ত ২ জন, নওগাঁয় ১৭, সিরাজগঞ্জে ২ জন, বগুড়ায় ১৮ জন, জয়পুরহাটে ২৮ জন, পাবনায় ৮ জন ও নাটোরে ৮ জন এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক গোপেনন্দ্র নাথ আচার্য বলেন, এখন পর্যন্ত বিভাগের করোনা হটস্পট হয়ে উঠেছে জয়পুরহাট। এ জেলাকে বিশেষ নজরদারিতে রেখেছি আমরা। সার্বক্ষণিক সেখানকার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের। পাশাপাশি বাড়ছে অন্য জেলাগুলোতেও আক্রান্তের সংখ্যা।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী ল্যাবে অতিরিক্ত নমুনা আসায় সবগুলো পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কিছু নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো। ঢাকা থেকে একদিনে অনেকগুলো রিপোর্ট আসায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হঠাৎ করে। এই নমুনাগুলো গত ২৩ এপ্রিল পাঠানো হয়েছিলো ঢাকায়।
Discussion about this post