করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের জন্য মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়েছে রাজশাহীর এক স্কুলছাত্রী। রাজশাহীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে সে।
মেয়েটির নাম মাহিদা চৌধুরী শ্রাবন্তী (১৪)। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিতে রোববার সকালে জেলা প্রশাসক হামিদুল হকের হাতে নিজের মাটির ব্যাংকটি তুলে দেয় শ্রাবন্তী। জেলা প্রশাসক তা গ্রহণ করেন। এ সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার জন্য জেলা প্রশাসক তাকে ধন্যবাদ জানান।
শ্রাবন্তী জানায়, লকডাউন অবস্থায় বাড়িতেই পড়াশোনা আর টিভি দেখে সময় কাটছে তার। টিভিতে সে খবর দেখছে অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ তহবিলে অনেকেই অর্থ সহযোগিতা করছেন। এর পর সে নিজেও তার মাটির ব্যাংকটি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শ্রাবন্তী আরও জানায়, সে তার এক চাচার সঙ্গে মাটির ব্যাংকটি নিয়ে এখানে এসেছে। প্রায় এক বছর ধরে সে ব্যাংকটিতে টাকা জমিয়েছে। তার অনুমান, ব্যাংকটিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আছে। বিভিন্ন সময় বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে এই ব্যাংকে ঢুকিয়েছে। ব্যাংকটি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দিতে পেরে তার খুব ভাল লাগছে।
শ্রাবন্তীর বাবা রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, তার মেয়ে যখন মাটির ব্যাংকটি ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার আগ্রহের কথা জানায় তখন তিনি উৎসাহ দেন। করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের মেয়ের এমন আগ্রহ দেখে তিনি অভিভূত।
Discussion about this post