সমগ্র বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, জনগণকে অবশ্যই ঘরেই অবস্থান করতে হবে। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না বলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা জানান ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন। মৃতদের মধ্যে ৬ জনই ঢাকার এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬০ জনে। শেষ ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে যে দশ জন মারা গেছেন তাদের ১ জন ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সী। ৫ জন ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী। ৩ জন ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী। ১ জন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী।
গত চব্বিশ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০১৯টি। যা থেকে ৩৪১ জন রোগীকে করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৭২ জন। ১৫ই এপ্রিলের তুলনায় যা ১৬ শতাংশ বেশি বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গেল ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মাসের শেষ দিক থেকে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এই সিদ্ধান্তের পরও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছেই। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এরইমধ্যে নানা পদক্ষেপও নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী নোভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এ তথ্য জানানা গেছে। এরইমধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৯৬০ জনের। আর শনাক্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৫১৫ জন। এখন করোনা শনাক্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২০৬ জন। মোট শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯ জনের। মারা গেছে ২৮ হাজার ৫২৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনা শনাক্ত হওয়া শীর্ষ পাঁচটি দেশ ইউরোপের। এর মধ্যে স্পেনে শনাক্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৯ জন ও মৃত্যু ১৮ হাজার ৮১২ জন, ইতালিতে শনাক্ত ১ লাখ ৬২৫ হাজার ১৫৫, ফ্রান্সে শনাক্ত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৩, জার্মানিতে শনাক্ত ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৩ ও যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ৯৮ হাজার ৪৭৬ জন
Discussion about this post