করোনাভাইরাসে আক্রমনে মৃত্যুর পরও মুক্তি নেই। কারণ মৃতদেহও ছাড়তে চায়না করোনা ভাইরাস। এমনই প্রমান মিলল থাইল্যান্ডে। আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ থেকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালের পরীক্ষক সংক্রমিত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ঘটনার জেরে মর্গ থেকে শুরু করে সৎকারকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে গেল।
জার্নাল অব ফরেনসিক অ্যান্ড লিগ্যাল মেডিসিন স্টাডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ফরেনসিক বিভাগের কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার প্রথম ঘটনা ঘটল।
ওই প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের সময় যে ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করেন ডাক্তাররা, ফরেনসিক বিভাগেও সে ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করা দরকার।
ব্যাংককের আরভিটি মেডিকেল সেন্টার এবং চীনের হাইনান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির চিকিৎসক ডা. ওন শ্রিউইজতালাই বলেন, মরদেহ পরীক্ষা করে দেখা হয় না যে তার করোনা হয়েছিল কিনা, সে কারণে থাইল্যান্ডে মরদেহ (করোনা শনাক্ত না হওয়া) থেকে আসলে কত সংখ্যক ফরেনসিক পরীক্ষক কিংবা অন্যরা আক্রান্ত হয়েছেন, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই।
সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৯ লাখ ২৫ হাজার তিনশ ৮৪ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ১৯ হাজার সাতশ ১৮ জন। তার মধ্যে থাইল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ছয়শ ১৩ জন এবং মারা গেছে ৪১ জন।
Discussion about this post