কনটেইনারের স্তুপ থেকে বন্দরকে রক্ষা করতে এবার স্টোর রেন্ট বা পণ্য রাখার ভাড়া মওকুফের আদেশ জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ২৬ মার্চ থেকে এসময়ের মধ্যে যেসব কনটেইনার বন্দরের জেটিতে রয়ে গেছে এবং এখনো আমদানিকারকরা ডেলিভারি নেয়নি তারা এই মওকুফ সুবিধা পাবে।
এদিকে এই মওকুফের কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিক মন্দার সময়ে বাড়তি সুবিধাও পেলো। আজ ৫ এপ্রিল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ভাড়া মওকুফের এই আদেশ দেয়া হয়।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ৪৯ হাজার ১৮ একক কনটেইনার ধারনক্ষমতা থাকলেও আজ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার একক কনটেইনার রয়েছে। প্রতিদিন মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ কনটেইনার ডেলিভারি হয় বলে বন্দরে বাড়ছে কনটেইনারের স্তুপ। বাড়তি এই কনটেইনারগুলো যাতে আমদানিকারকরা দ্রুত বন্দরের ইয়ার্ড থেকে ডেলিভারি নিয়ে যায় সেজন্য তাদেরকে ভাড়া মওকুফ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এই ভাড়া মওকুফের কারণে তারা অপরদিকে আর্থিকভাবেও লাভবান হবে। করোনার এই সময়ে ভাড়া মওকুফের সুবিধায় তারা উপকৃত হবে।
এদিকে বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দর থেকে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার কনটেইনার ডেলিভারি হলেও এখন তা নেমে এসেছে ৪০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। এতে বন্দরে বাড়ছে কনটেইনার জট। কনটেইনার বেড়ে যাওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডে রাখার জায়গা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। করোনা কিংবা বিবিধ কারণে আমদানিকারকরা এসব পণ্য বন্দর থেকে নিচ্ছে না।
জানা যায়, সাধারণ হিসেবে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামার চার দিন পর থেকে স্টোর রেন্ট যুক্ত হয়। ২০ ফুটের প্রতি কনটেইনারের জন্য দিনে ৬ মার্কিন ডলার এবং ৪০ ফুট কনটেইনারের জন্য ১২ মার্কিন ডলার করে দিতে হয় আমদানিকারককে। এখন থেকে সরকারি ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আর এই টাকা পরিশোধ করতে হবে না। তবে ২৬ মার্চের আগে যেসব কনটেইনার বন্দরে নেমেছে এবং এখনো ডেলিভারি নেয়া হয়নি সেসব কনটেইনার এই সুবিধা পাবে না বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি রপ্তানি বানিজ্য নিয়ন্ত্রন করে চট্টগ্রাম বন্দর। সেহিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি না হলে সারাদেশে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে
Discussion about this post