করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য নিজস্ব ল্যাবে ১০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণ করেছে রাজশাহী কলেজ।
নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক সহ জড়িত অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে সামজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কলেজের ফান্ড থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে না হয় সুরক্ষিত রাখা গেল, কিন্তু বাড়িতে অবস্থান করায় কাজ না পেয়ে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ যে পড়েছে ভয়াবহ সংকটে।
সবার আগে তাদের দরকার দুবেলা দুমুঠো ভাতের বন্দোবস্ত। দিন এনে দিন খাওয়া এ ধরণের শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ তাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন। কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষক পরিষদের সভা করাও সম্ভব নয়।
ব্যক্তিগতভাবে তিনি শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলেন সকল শিক্ষকের একদিনের বেতন দিয়ে চাল কিনে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াকে রাজশাহী কলেজ পরিবার।
করোনার কারণে দেশের সংকটময় মূহুর্তে দেশসেরা এই কলেজের সব শিক্ষক মেনে নিলেন অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত। শিক্ষকদের টাকা দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কিনে ফেললেন ৪ হাজার কেজি চাল।
এছাড়া নিজস্ব উদ্যোগে আরো কেনা হলো ২ হাজার কেজি চাল। সব মিলে রাজশাহী কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে ৬ হাজার কেজি চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
রবিবার (২৯ মার্চ) চাল নিয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান নিজেই গেলেন নগরীর হেতেমখাঁ হরিজন পল্লীতে। প্রথমদিন হরিজন পল্লীর দেড়শ পরিবারের মধ্যে চার কেজি করে চাল ছাড়াও ডাল, সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক সহ আরো কয়েকজন শিক্ষক।
অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেন, ৬ হাজার কেজি চালের মধ্যে ২ হাজার কেজি চাল আমরা নগরীর হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে পৌঁছে দিয়েছে।
২ হাজার কেজি চাল আমরা বিতরণ করছি। আরো ২ হাজার কেজি চাল আমরা আগামি ২ এপ্রিল রাজশাহী কলেজের ১৪৮তম প্রতিষ্ঠাদিবসে এখন কাজ না পেয়ে বাড়িতে বসে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে পৌঁছে দেবো।
প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেন,আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি দেশের এই সংকটকালে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ি খেটে খাওয়া অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন
Discussion about this post